"মানুষেরা নাকি মানুষ!"

জীবন যুদ্ধে নেমেছি রণে
আমরা সবাই বীর—কেউ বা গুণে
মা-বাবা, ভাই-বোন, বন্ধুর দল,
হাসি-কান্নার রঙ্গে গড়ি আলো-ছায়ার কোল।

অদ্ভুত এই পথে অদ্ভুত খেলায়
প্রতিদিন ঘটে কী সব আশ্চর্য ব্যাপার!
আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীর ভীড়,
কেউ বন্ধু, কেউ শত্রু, কিন্তু মুখে মধুর সুর।

হায়, সবাই বলে "মানুষ" আমরা,
তবু কোথায় লুকায় মনুষ্যত্বের আলো?
সত্যিই কি মানুষ? নাকি খোলস পরা প্রাণী,
বাহিরে সুন্দর, ভেতরে স্রেফ শূন্যতার টানি?

জীবনের প্রতিটি মোড়ে ভাঙা-গড়া খেলা
ভালোবাসার নামে কেবল চাতুরি ধ্বনির মেলা
অমানুষেরাও তো দেখতে আমাদেরই মতো,
ভালোবাসার চোখে ঢল ছলছল শুধু কথামতো।

নিজেকে খুঁজতে চেয়েছি, লড়ছি আজও,
এ জীবন সত্যিই কি মিথ্যার সাজে সাজো?
যদি বলি "আমরা মানুষ নই," কে দেবে বিশ্বাস?
কারণ রূপের ফাঁদে পড়ে সবাই এক সমান, আশ্বাস।

এই যুদ্ধের শেষে জানি একটাই কথা,
আমরা মানুষ, তবু মানুষই নেই কোথা!
তাই হোক না সে স্লোগান, হোক না শ্লেষের গান,
মানুষ হয়ে উঠুক মানুষ—এই তো জীবনের দান।