ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাচ্যের অক্সফোর্ড,
শিক্ষার আলোর উৎস, সকলের জন্য সৃষ্ট
এখন তার ক্যাম্পাসে অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু,
গণপিটুনির উৎসব, শিক্ষা নেই এখানে।
আমাদের শিক্ষকেরা ব্যস্ত, খুঁজে পেলে চা,
তাদের মনোযোগে কেবল “লাইক” আর “শেয়ার”
হাসির মধ্যেই ঘটে নৃশংস ঘটনাগুলি,
শিক্ষা কি তবে হাস্যকর? নাকি এটি নতুন ছন্দ?
তোফাজ্জল এসেছে, দুমড়ে-মুচড়ে,
ভিক্ষা করতে এসে, অদ্ভুত নাটকে।
ছাত্রদের বাহিনীতে রক্তের উৎসব,
আরে, কে বলেছে এটা শিক্ষার উৎসব?
শৃঙ্খলার কথা, কোথায় গেল সেই গর্ব?
হল খুলে গেল, আর কি শৃঙ্খলা,
দূর থেকে শুনি, “এটা তোফাজ্জলেরই সমস্যা!”
আরে ভাই, শিক্ষার মুখোশে, কে জানে কার সমস্যা?
মব ট্রায়াল, জানি, এটা নতুন এক গালি,
মানবতা খুঁজে পাওয়া লোকেরা মত্ত রক্ত খেলায়
অপেক্ষায় আছি, কবে ঘুচবে আঁধার?
যেখানে ছাত্র-ছাত্রীদেরও হবে উন্মুক্ত বিচার?
বিশ্ববিদ্যালয়ের গায়ে লেগেছে কালো দাগ,
শিক্ষার অঙ্গনে, কেন নেবে ভয়?
শিক্ষার কাছে যা আশা, তা কি আজ বেচে রয়?
না কি আমরা সকলেই শিক্ষক, আর সকলেই শিকার?
হাসিখুশির মধ্যে, হত্যা নতুন অধ্যায়,
আচ্ছা, ভবিষ্যতের জন্য আমাদের কি আছে?
একটি নতুন ছাত্র আন্দোলন, এক নতুন কাব্য,
শিক্ষার স্যাডার, নাকি আরেকটা স্যারকার?
এভাবে চলছে, শিক্ষার সংজ্ঞা পরিবর্তন,
শিক্ষা হবে মসৃণ, কিন্তু কতগুলো প্রশ্ন?
আমরা কি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিখব,
নাকি গাধা সাজার টিটকিরি?
অথবা, সবশেষে বলে যাব,
অভিভাবকদের চোখের জল,
হাসির সুরে, আতঙ্কে,
আমাদের প্রাচ্যের অক্সফোর্ড এখন,
একটি শোচনীয় নাটকের,
স্যাটায়ারের মঞ্চ!