দেশে থাকা এক মস্ত অভিশাপ,  
সবাই সুখের পেছনে দৌড়াতে ব্যস্ত
আমাদের প্রত্যেকেই জানে—  
একটা ‘অফিসিয়াল পাসপোর্ট’ ছাড়া,  
বাঁচা যায় না, অশান্ত মন - শান্ত হয় না।

শিল্পীরা বলবেন, "এসব নাটক আর কত?"  
নতুন প্লেনের টিকিট আর নতুন শহর পাবো,  
অতিথি হবো—দেশ মানে একটা ‘ঘর'ই’ তো  
এখানে সুখ নেই, ওখানে কত্ত কিছু ‘অফার’:  
আরে, এটা তো শুধু পেট চালানোর জায়গা!

সরকারি কর্মকর্তারা বলবেন— ‘উন্নয়ন?’
আচ্ছা, উন্নয়ন মানে কি শুধুই সেলফি শেয়ার করা?  
নাকি সরকারি সুযোগের সঙ্গে মন খারাপ করা!
এদেশে বসবাসের ‘দরজা বন্ধ’, একেবারে বন্ধ!
মনে করো,
একটা ট্রেন, যতই তাড়া করো না কেন,
চালকের জানা, ‘ব্যবসা শেষ, টিকিট নেই!’
যাত্রীরা জড়ো হয়, এ কী মরণ দশা!

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা হাসবে—  
"এমন ক্লাস কি আর সম্ভব!"  
সেখানে ফুলের গন্ধ, এখানে!  
দেশের শিক্ষাঙ্গনে থমকে যাওয়া মন,  
দেশ গড়লে তো, ক্লাস শেষে অগণিত ঋণ  
বিদেশে যাচ্ছি! এটা গাধাদের জন্যই রয়ে যাক।

ডাক্তাররা এখন দুঃখ করে—  
" এটা কি জীবন, নাকি গোলকধাঁধা!"  
কী লাভ, এই দেশের রোগীদের  
মেডিসিনের বদলে দেবো সঠিক দিশা?  
বিদেশে গিয়ে, আমরা তো ‘সুপারহিরো’
এটা বাস্তবতা, তাও বলছি তোমাদের সাইকোলজি!

বুয়েটের ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য কথা,  
দেশ পুড়ে ছাই, নইলে তো গুলি—  
এদেশে তো গুলির দামও বাড়ছে।  
বিদেশে যাওয়া, ধোঁকাবাজির নামে—  
দেশে থাকলে তো ‘টাকার ঘর’ হয়ে যায়।  

রাজনীতিবিদরা কী বলেন?  
‘নিজের সন্তানকে দেশ গড়ার ধারা শেখাতে দেশের টাকায় বিদেশে পাঠাই, তোমরা এসব বুঝবে না, হে দুধের শিশুরা।  
আমরা তো জানিই, এই দেশ গড়ার খেলা—  
বাণিজ্যেই চলে ‘প্রধানমন্ত্রীর সময়’!'

দেশে থাকার জন্য ‘ধর্ম’ প্রয়োজন—  
এক পলক ঘুরেফিরে দেখে,  
তারপরও পালানোর দরজা খুঁজে সবাই
আর কোনো গল্প নেই, এখানে 'ধর্ম' শুধুই ব্যাবসা!  
এই তো চিত্র, বিদেশের দরজা, সবার জন্য খোলা!
দেশের মানুষ, দলে দলে চলে যায়...