এই পৃথিবী,
বিশাল একটা খাঁচা।
মানুষগুলো একচোখা পাখি,
যেই পাখিরা কখনোই মুক্তি পায় না
তাদের ডানা কাটা, সীমাবদ্ধ কণ্ঠস্বর।  
এই খাঁচার চাবিটা অন্য কারোর হাতে,  
যার হাতে এর চাবি-
সে-ও এই খাঁচার ভিতরেই ঘুরে বেড়ায়  
- সকলের অজান্তে।

এখানে দেশ, সীমান্ত, ধর্ম-
সকল বিভাজন একসাথে দাঁড়িয়ে
ছোট ছোট খাঁচায় বন্দী করে মানুষ,
মনে হয়, এই খাঁচার একেকটি রেলি
মানুষের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে।

অথচ, আমরা জানি
এই খাঁচা আসলে কিছুই নয়, নিছকই একটি কল্পনা!
কত-শত দেশের সীমানা, ধর্মের গোঁড়া, বর্ণের আলাদা চিন্তা—  
এগুলো কি আমাদেরই তৈরি নয়?  
আমাদের সমাজ-আমাদের মনোভাব-আমাদের আদর্শের নামে
একেকটা বিভাজনের খাঁচা, আমরা নিজেরাই সাজাচ্ছি,  
আর একে একে মানুষকে ঢোকাচ্ছি, ভেতরে!

মনের মাঝেও বিভাজন
ধর্মে, জাতিতে, ভাষায়-
অথচ, পৃথিবী একটাই!  
এখানে সবার জন্য জায়গা আছে
কিন্তু, খাঁচার বাইরে মুক্তির কোনো জায়গা নেই।  
তদুপরি, একে অপরকে শত্রু বানানোর পরিকল্পনা -
এটা যেনো এক অদ্ভুত পরিহাস।  
মানুষের সত্যিকারের স্বাধীনতা তখনই আসে
যখন মানুষ একে অপরকে বুঝতে পারে,
অবশ্য, মাঝে মাঝে শুধু কথার বদলে পথ এক করে নিই-
আর খাঁচার দরজা খুলে পৃথিবীটাকে মুক্ত করতে চাই।

এই পৃথিবী যদি আসলেই খাঁচা নয়,  
তাহলে কেন আমরা নিজেদের  
সেই খাঁচার ভিতরে আটকে রেখেছি?  
এখানে যদি কেউ এসে বলেই ফেলে -
"এটা তো আপনার স্বাধীনতা!"  
তবে কি আমরা সেই চাবি খুঁজে পাবো-
যে চাবি দিয়ে সকল খাঁচার দরজা খুলে যাবে
আর আমরা সবাই একসাথে মুক্ত হতে পারবো?  

এখনও সময় আছে,  
খাঁচার বাইরে বেরিয়ে এসে -
পৃথিবীটাকে আরও উজ্জ্বল করতে পারি।
যেই পৃথিবী মানুষের জন্য
যেই পৃথিবী সীমান্তহীন
যেখানে শুধুই ভালোবাসা শ্রদ্ধা আর স্বাধীনতা থাকবে।
আর এটাই যদি আমাদের লক্ষ্য হয়,
তাহলে, ছোট বড় খাঁচার দরজাগুলো খুলে দিতে হবে-
এবং পৃথিবীটাকে এক নতুন চোখে-নতুন রূপে দেখতে হবে।