আজকের বাংলাদেশ—
একটি ক্ষতবিক্ষত মূর্তি
যার শরীরে রক্তের চিহ্ন, মাথায় তাজপোশাক!
আমরা বলি, আমরা তো শিক্ষিত।
আমি জানি, আমরা শিক্ষিত
কিন্তু কোথায় হারিয়েছি জ্ঞান?
হৃদয়ে উৎকৃষ্ট পরিকল্পনার আকাঙ্খা নাই,
আগামীর চলার পথে আলোর চিহ্নটা পর্যন্ত নেই।
আজকের শিশুকে বলি, তুমি ভবিষ্যতের নেতা—
অথচ, তার হাতে বইয়ের চেয়ে মুঠোফোন বেশি।
এখানে, শিক্ষার ডালপালা পচে গেছে
কাঁটাঝোপে পরিণত হয়েছে শিক্ষা;
কোনো একদিন,
এটা ফুলে ফসলে ভরে উঠবে বলেই আশা করি
যতটুকু নষ্ট হতে সময় নিয়েছে,
ততটুকু সুস্থ হতেও সময় নিবে।
এখানে,
একটা বিদ্যুৎ সঞ্চালিত স্রোত
ভীষণ অনুভব করি-
কিন্তু কি সে স্রোত—?
এটা বিদ্যুৎ নয়,
এটা তো বড় বড় পটকা ফাটানোর আগুন!
এরা সেগুলোকেই উন্নতির জ্ঞান বলে বিশ্বাস করে
এরা জনবিচ্ছিন্ন, বিধ্বস্ত পথে হাঁটে- অথচ জানে না,
গন্তব্য কোথায়, আর পথই বা কোথায়।
তবে, জানো, যতটুকু শিক্ষা—
এখনো বাকি,
শিশুদের যতটুকু ভুল পথে হাঁটানো,
এখনও মনের গভীরে এতটা উদাসীনতা—
সেখানে একা একা কিছুই হতে পারে না।
আমাদের একত্র হতে হবে,
গড়ে তুলতে হবে উন্নত পরিকল্পনা—
তবেই নতজানু জাতি থেকে উন্নত মানুষ হবো আমরা।
এখনই সময়,
শিক্ষার আমূল সংস্কার হওয়া প্রয়োজন,
এ দেশের ভবিষ্যত আসবে আজকের শিশুদের হাত ধরে।
আমরা জানি, তাদের দিকে চেয়ে থাকা মানে নিজেদের আখের গোছাতে তাদেরকে ভুল পথে ঠেলে দেয়া নয়-
আর তাদের ভুলে যাওয়াও নয়—
বরং চলো, শ্রেষ্ঠ শিক্ষা দিয়ে তাদের উন্নত ভবিষ্যৎ গড়ো,
এবং সমৃদ্ধ সমাজে এগিয়ে যাওয়ার পথ তৈরি করো।