এক দেশে ছিলো এক রাজনীতি, ছাগল,
বনের রাজা সে, সব লম্বা ফর্দের আগল
মসজিদ-মন্দির-মাজার সব চিবোতে ব্যস্ত,
লোভী মুখে সে কেবল রাজনীতির খসড়া চস্তে।
অযোগ্য নেতা হলো ছাগলের পাল,
খালি গলা ফাটিয়ে বলে, "আমিই কাল!"
গোটা দেশটাকে করে দিলো খণ্ড খণ্ড,
আপন পেটে কেবল জমাচ্ছে ফাঁপা পাণ্ড।
মসজিদের মিনারও তার দাঁতের কচুরিপানা,
মাজারের অলির কবরেও বাজায় তানাপায়ানা।
ঘরবাড়ির ইটগুলো তার পেটে হলো জমা,
দেশের মানুষ হলো লিকলিকে সেলফি-প্রেমী জমা।
তবুও ছাগল দল চলল ক্ষমতার মঞ্চে,
কেউ না দেখে তাদের চিবানো ধান ক্ষেতের সঞ্চে।
দেশটা কি হবে—তারা ভাবে না একটুও,
শুধু তাদের পেটে জমাতে থাকে স্বার্থের ভূতু।
একদিন, সব কিছু খেয়ে ফেলে হলো পেট ফাঁপা,
রাজনীতির ছাগল বলে, "এখন চল করি ছাপা।"
সকলেই মিলে বসল পরিকল্পনার কথায়,
তবুও তাদের মাথায় আসে না একটুও পথায়।
অর্থনীতি, উন্নতি, অধিকার —সব হলো সেই ঘাস,
ছাগল দল মিলে করে দিলো এক অপূর্ব প্রহসন খাস।
বলে, "নির্বাচন হবে! স্বচ্ছ হবে সারা!"
কিন্তু পরিকল্পনা রইলো কেবলই মসকরা।
তাই হে জনগণ, হে দেশের প্রাণ,
কোনো ছাগল পাল যেন না পায় আর ঘাসের স্থান।
জাতীয় ঐক্য নিয়ে আসুক নতুন রবি,
যেখানে গণতন্ত্রের রোদে ফোটে প্রগতির ছবি।
দেশটা হোক যেন নতুন এক মশাল,
যেখানে নেতৃত্ব আসবে যোগ্যদের কপাল।
রাজনীতির কোনো ছাগল আর না পাক ঘাসের সুখ,
এবার উন্নতির মাঠে লাগুক সুশাসনের হাওয়া, বীজ বপুক।