পাহাড়ের চূড়ায় বসে আছে রাষ্ট্র,
নীচে বয়ে যায় সংস্কারের বাঁধভাঙা স্রোত!
দিগন্তে এক আকাশ মেলে ধরেছে মায়া,
তবু গহিনে লুকিয়ে থাকে মিথ্যার ছায়া।
গরুর গাড়ি সেই চিরকালীন সাথী,
চাকার প্রতিশ্রুতিতে গরুর চোখে প্রভাতী।
চৌম্বকীয় মেঘের দল ঢেকে ফেলে তার পথ,
গরু কি জানে না, সংস্কার আসলে এক ভ্রান্ত মত!
রাজার আসনে বসে আইনঘটিত জট,
তোমাদের জন্য উন্নয়ন—কথার জালকটা ফটাফট।
তবু পথে চাকা থেমে যায় নিঃশব্দে,
কারণ চুম্বকের টান বসেছে গভীর নিষ্প্রভ হৃদপিণ্ডে।
আমাদের চায়ের কাপে ঘূর্ণি তুলেছে রোবট,
ভবিষ্যতের ছক কষছে তার সাদা, নির্জীব হাত।
“চা খাও, উন্নয়ন হবে”—এমন রোবটিক কথার ঝঙ্কার,
জানি কি? সেই চায়ের মধ্যে লুকিয়ে আছে তিক্ততার ভার।
সংস্কারের আকাশে ঝুলছে আলোর দণ্ড,
মহাকাশ জুড়ে নতুন পৃথিবীর অঙ্গীকারে গন্ধ।
তবে, চৌম্বকীয় চাকার মতোই সব বায়বীয়,
প্রতিশ্রুতির ফাঁদে সবাই বেঁধে আছে অনিয়মীয়।
নদী শুকিয়ে গেছে সেই সংস্কারের ঝড়ে,
তবু তারা বলে, “এসো উন্নয়নের দুয়ারে দাঁড়াই!”
গরু অবাক হয়, চাকা থেমে যায় তার পথে,
অথচ যত দোষ, সব ঐ গরুরই ঘাড়ে!
বাস্তবতা বলে, গরুর কোনো দোষ নেই,
দোষ তো সব- ঐ ঘোট পাকানো জটে!
আকাশের নিচে লুকিয়ে আছে হাজারো প্রশ্ন,
সংস্কারের নামে যতই লাগুক গোঁজামিলের দণ্ড।
রাষ্ট্রের চোখে মায়াবী কুহেলিকা,
সমাজ চায় পথ, কিন্তু পায় কেবল সংস্কারের আলিকা।
গভীর উপমার ভাঁজে ভাঁজে লুকায় সত্য,
সংস্কার যতই হোক, সে তো কেবলই মিথ্যার প্রপঞ্চ।
চাকা ঘোরে না, গরু থেমে যায়,
আর বাঙালি ধীরে ধীরে হারায়, ঐ প্রতিশ্রুতির নামে।
শতাব্দীর শেষে দাঁড়িয়ে ছুঁড়ে প্রশ্নের বাণী,
কোনটা সত্য, আর কোনটা শুধুই ইতিহাসের গ্লানি?
এতসব সংস্কার কি আসলেই উন্নতির আশা,
নাকি জটিলতার বৃত্তে বন্দি বাঙালির ভাষা?
এ কুহেলিকা, এ মায়ার দেশ,
সংস্কারের নামে প্রতিদিন জন্ম নিচ্ছে নতুন আবেশ।
জানি, চাকা থামলেই জানা যাবে আসল কথা,
সংস্কারের নিচে লুকিয়ে আছে অজানা রহস্যের ব্যথা!
_______________ রশিদ ভাই
তেইশ দশ চব্বিশ