একদিন এক কবি লিখেছিল স্বপ্নের কথা,  
অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে বলেছিল মুক্তির কথা
তার কলমে জ্বলে উঠেছিল বিদ্রোহের আগুন,  
স্বৈরাচারের সিংহাসন কেঁপেছিল তার তীব্র ধ্বনিতে গুন।

শাসকেরা ভয়ে কেঁপে ওঠে, পালায় রাতের আঁধারে,  
নতুন ভোরের আহ্বানে, নতুন সরকার গড়ে পাড়ে
মানুষের চোখে জ্বলে ওঠে আশার দীপ্তি,  
তারা ভাবে এবার বুঝি শেষ হবে দুঃখের নীতি।

কিন্তু কী দেখলাম পরে? সেই কবি আজ নীরব,  
তার কলম আজ স্তব্ধ, তার লেখায় নেই আগ্রহ
নতুন শাসকের শাসনে, আবার এক অন্যায় খেলা,  
স্বাধীনতার মুখোশ পরে আবার ত্রাসের ঢেউ এল।

যে কবি ছিল সাহসী, যে কণ্ঠ ছিল সোচ্চার,  
তার কলম ছিনিয়ে নেয়া হলো, তার কাগজ হলো ভার
তার হাত বাঁধা হলো নতুন শৃঙ্খলে, তার মুখে দেয়া হলো তালা,  
স্বাধীনতা হলো পরাধীন, তারই চোখে পড়ল জ্বালা।

এ কেমন স্বাধীনতা, যেখানে আবার বন্দী মন?  
এক স্বৈরাচার গেছে, কিন্তু আসে আরেক বিষণ্ণ শাসন
লেখকের কলম থেমে গেছে, তার স্বপ্নও আজ নীরব,  
নতুন শাসকের ছলনায়, সব আশা হলো ক্ষীণ।

তবুও, হয়তো একদিন আবার জাগবে সেই কলম,  
তবুও, হয়তো ভাঙবে আবার নিঃশব্দের বন্ধন
কারণ সত্যের আলো কখনো থামে না, কখনো হয় না ক্ষয়,  
একদিন, কোনো এক ভোরে, আবার গড়বে মুক্তির জয়।

তাই অপেক্ষা করো, অপেক্ষা করো সেই দিনের,  
যখন নীরবতা ভাঙবে, শব্দ উঠবে আবার মঞ্চের
লেখকের কলম জেগে উঠবে, নতুন সুরের রাগে,  
স্বাধীনতার আসল মানে, নতুন সূর্যোদয়ে জাগবে।