দেশটা যেনো মগের মুল্লুক,
রক্তে লাল হয়ে আছে আমাদের হাত—
এখন আর কোনো রাইফেল দরকার হয় না,
শব্দবিহীন শেকল আমাদের স্বপ্নগুলোকে পিষে দেয়;
মাথার ওপর স্বাধীনতার আকাশ,
কিন্তু, বুকের ভেতর বিষাক্ত বাতাসে গুমরে মরে স্বাধীনতা।
একাত্তর কি সত্যিই ছিলো?
নাকি শুধুই এক ছায়াবৃত্ত?
সীমান্তের রেখা টেনেছি ঠিকই
কিন্তু, মানুষের মনের ভেতর চিরকাল জ্বলে দাসত্বের প্রদীপ।
এখানে ক্ষমতার পালাবদল হয়
সে আসনে যারাই বসে,
তারা যেন একেকটা দানব—
ওরা মানুষের কষ্টের অশ্রু দেখে হাসে,
ওদের কণ্ঠে স্বাধীনতার গান, কিন্তু হাতে রক্তাক্ত ছুরি।
গুম হয়ে যায় কণ্ঠস্বর
হারিয়ে যায় মানুষের অধিকার
রাস্তায় পড়ে থাকে মানবতার নিথর দেহ
আইনের গায়ে ছাপ পড়ে কাঁচা মাংসের গন্ধ।
এই দেশটা যেন এক বিশাল কসাইখানা,
প্রতিটি চাবুকের আঘাতে গর্জে ওঠে শোষণের নৃত্য।
আর কতদিন চলবে এই বিষাদে রক্তাক্ত নাচ?
আর কতকাল সহ্য করব এই নিঃশব্দ অত্যাচার?
মৃত্যুর চোখে চোখ রেখে দাঁড়িয়ে আছি
আমরা, যারা বেঁচে আছি শুধু শিকড়ের ভারে
আমাদের দ্রুতই জেগে উঠতে হবে!
আকাশে জ্বলে উঠুক বিদ্রোহের দাবানল,
পুড়ে ছাই হোক শোষণের প্রতিটি ইট—
যে স্বাধীনতা কেবল নামে,
তার আসল চেহারা দেখাও এবার!
মানুষকে মানুষ হতে দাও,
মৃত্যুর রাজ্য থেকে ফিরিয়ে আনো জীবন
স্বাধীনতা শুধু মাটির নয়,
স্বাধীনতা মানে বুক ভরে শ্বাস নেওয়া—
এই দেশে, এই মাটিতে,
আর আমাদের রক্ত-ঘামে ভেজা পূণ্য জমিনে।