দূর আকাশে শকুনেরা উড়ছে মহাসমারোহে
স্বাধীনতার নাম মুখে নিয়ে, ওরা খাঁচা বানায় ঘরে ঘরে
তাদের ডানায় যেন কালো বিষ, উড়ে আসে দুঃস্বপ্নের মতো,
আঁধার গিলে ফেলে দিনের আলো, পাথর জমেছে বুকের কোথাও।

তুমি তো চেয়েছিলে রোদের স্বপ্ন, বাতাসে মুক্তির ঘ্রাণ,
তবে কেন এ বন্দী জীবন, কেন ঠোঁটে বিঁধেছে রক্তের গান?
তাদের চোখে খেলা করে প্রতারণা আর শক্তির অহংকার,
তোমার স্বাধীনতার সুর তারা বিকিয়ে দেয় শিকলের ভারে।

কথার ফুলঝুরি ছড়িয়ে দেয়, আশ্বাসের সেতু গড়ে তোলে,
কিন্তু পায়ের তলায় ফোটা কাঁটা, রক্তে আঁকা গোলাপ বলে-
তাদের মুখে ‘জনগণ’ শব্দ ভেসে যায় তপ্ত মেঘের মতো,
অন্যদিকে তারা গিলে ফেলে জাতির আশা—এক নিমেষে সবকিছু নত!

হায়রে বাঙালি, তুই বুঝিস না, শকুনের সঙ্গে বোঝাপড়া নেই,
তারা কেবল খুঁজে নেয় ক্ষত, রক্তে ভেজা কালো ঐরাবতের চেয়েও অন্ধকার,
তুই ভাবিস আশায় পথ জাগবে, তোর হাত ছুঁয়েছে নতুন দিনের আলো,
কিন্তু সেই আলো তো সহসাই নিভে যায়, ইতিহাসে জমে কেবল ব্যথারই পালা।

কাঁদো বাঙালি, কাঁদো! তোদের কান্নার প্রতিধ্বনি হবে প্রতিরোধের ডাক,
যতদিন না শকুনের ডানা ভাঙবি, যতদিন না ভাঙবি সেই খাঁচা,
তোর রক্তের দামে কেনা স্বাধীনতার গল্প শোনাবি কাকে?
জাগো আবার, জাগো, মুঠোয় ধর শকুনের শিকল, গর্জে ওঠো অদম্য সাহস নিয়ে!