মুখোশের আড়ালে কত মুখ, কত কাহিনি
হাসির আড়ালে কত বিষ, কত কথার বাণ
তাদের মসৃণ কথাগুলো যেন মধুর ছন্দে বাঁধা,
ভেতরে ভেতরে কত গহীন শূন্যতা, কত বিষণ্নতা।
বন্ধু, তুমি বন্ধু হয়ে পাশে দাঁড়াও,
কিন্তু কেন যেন বিশ্বাস করতে ভয় পাই।
তোমার সেই চাউনি, সেই প্রশংসার বাক্য,
কেন যেন মনে হয় সবই মিথ্যে খেলা, অভিনয়।
শত্রু চিনি, শত্রুর সাথে লড়াই সহজ,
কিন্তু তোমাদের সাথে?
তোমরা তো বন্ধু, নিজেরাই বলে এসেছো!
কিন্তু বন্ধুত্বের এই খেলাটা কেন এমন বিষাদময়?
তুমি হাসো, তুমি হাত বাড়াও, তুমি আমার পাশে থাকো,
কিন্তু তোমার চোখের গভীরেই দেখি এক অন্য মানুষ,
যে সবসময় সুযোগ খোঁজে, আমার পা পিছলে গেলে হাসে,
আমি চাই তোমায় ছুঁতে, চাই বিশ্বাস করতে, কিন্তু পারি না।
কেন এমন মুখোশ পরে আছো?
কেন তোমার বন্ধুত্বে বিষ মিশে আছে?
সত্যি কি বন্ধুত্ব এতই কঠিন?
একটা স্বচ্ছ সম্পর্ক, যেখানে নেই কোনো প্রতারণা,
নেই কোনো ছলনা, শুধু বিশ্বাসের আলোয় ভরা—
সেই সত্যি কি এতই দূর, এতই অধরা?
তোমাদের জন্য আমার কোনো ঘৃণা নেই,
শুধু এতটুকু আক্ষেপ, একটুকু অনুরোধ—
মুখোশ খুলে আসো, সত্যি হয়ে পাশে থাকো,
বন্ধুত্বের মানে বোঝো, মানুষকে মানুষ ভাবো।
এই পৃথিবীটাকে যদি এতটুকুন সুন্দর করতে চাও,
তবে মুখোশের আড়াল থেকে বেরিয়ে এসো।
সত্যি হয়ে এসো, বিশ্বাস হয়ে এসো—
আমরা তখন সত্যিকারের বন্ধু হবো,
মুখোশের আড়ালে নয়, জীবনের আলোয়, একসাথে।
___