আমি কলমে আগুন জ্বালিয়ে বসে আছি—
দাঁতের ফাঁকে চেপে ধরা হাহাকারগুলোকে ছুঁড়ে দিতেই,
আজ আর কাগজ নয়, কফিন;
হ্যাঁ, কফিনেই লিখছি...
কালো কিংবা লাল রঙে নয়,
নিস্পাপ শহীদের রক্তে, আমি লিখছি।
আমার কবিতায় সুধা নাই,
পদ্মফুল নাই, প্রেয়সীর চোখ নাই—
আছে শুধু,
ভূতপূর্ব নেতা নামধারীদের ফাঁসির মঞ্চ
আর ব্যালটবাক্সে পচা শকুনের গন্ধ!
তোমরা যাকে বলো “উন্নয়ন” "সংস্কার"
আমি তাকে দেখি -
ভিক্ষুকের পাতে ঘাম চেপে রাখা আয়কর ফর্ম,
যেখানে চাল নেই, ডাল নেই, তেল নেই, নুন নেই
কিন্তু আছে—
নতুন নতুন মন্ত্রীর নতুন নতুন ল্যান্ড ক্রুজার!
তোমরা যাকে বলো “স্বাধীনতা”
আমি সেখানে খুঁজে পাই -
ডাস্টবিনে পড়ে থাকা অর্ধেক ছেঁড়া পতাকা
আর তার পাশেই মুখ ঢেকে কাঁদছে একজন মা।
আমি কলমে আগুন জ্বালিয়ে বসে আছি—
হ্যাঁ, আজ আমি পোড়াতে চাই সমস্ত ভণ্ডামির ব্যানার
গণতন্ত্রের মুখোশধারী তস্করদের মুখ,
আর ধর্মের নামে ভোট চাওয়া শকুনদের ঠোঁট।
তোমরা যদি সাহস পাও,
তবে সামনে এসো, একদম সামনা-সামনি!
আমার প্রতিটি শব্দে খুঁজে নিও আয়নাটা—
যেখানে দেখা যায়,
কারা দেশের শত্রু, আর কারা দেশের ভিখারি!
আজকাল আমি কবিতা লিখি না আর—
লিখি প্রতিবাদ, লিখি জবাব, লিখি ব্যালটের লাথি!
আমার কলম এখন তরবারি নয়, পুরোদস্তুর আগুন।
আমি কলমে আগুন জ্বালিয়ে বসে আছি—
জনতার রায়ের প্রতিদানে যারা লাশ গুনে উন্নয়ন মাপে,
তাদের কফিনে শেষ কবিতাটা আমি-ই লিখবো।