ধর্মের বইগুলো, পবিত্র ও পুরাণ,
কথায়-কথায় বলে, শান্তির ধারায় বাঁচে প্রাণ।
কিন্তু কেন এতো বিভাজন, কেন যুদ্ধের হাওয়া,
এ তো সেই বাণী নয়, যা ভাসে সকল স্রোত-সামায়!

কুরআন বলে, “ভ্রাতৃত্বে এক, প্রেমের পথই সত্য,”
তবু কেন শত্রুতা, কেন একে অপরকে করি রুষ্ট?
বাইবেল শোনায়, “ভালোবাসো প্রতিবেশীকে, নিজের মতো,”
কেন দেখি রক্তের ঝর্ণা, কেনইবা আজন্ম ঘৃণার ছোঁয়া?

তাওরাহ শিখায়, “ঈশ্বর এক, তাঁর পথেই চল,
মানুষের প্রতি ন্যায়বিচার, নিঃস্বার্থ ভালোবাসা ছড়িয়ে দাও।”
কিন্তু কেন এত বিভাজন, কেন এত দুঃখ-কষ্ট,
যতই বলি “ঈশ্বর এক,” ততই যেন দূরে চলে যায় ঐ স্নিগ্ধ রূপরেখা।

বেদ বলে, “ধর্মের মূল এক, একাত্মতার পথে যাও,”
কিন্তু কোথায় সেই মিল, কোথায় সেই আসল আলো?
গীতা বলে, “ধর্ম রক্ষা করবে? সত্যের পথে চলো,
প্রেমে, সহানুভূতিতে এই পৃথিবী সাজাও!”
কিন্তু কেন সেই বার্তা ভেসে যায় দূরে,
কেন আমাদের মাঝে যুদ্ধের সুর বেজে ওঠে?

ত্রিপিটক শোনায়, “অহিংসায় চলো, মৈত্রীর সাথে চল,
শান্তির পথে হেঁটো, যেখানে নেই দ্বন্দ্ব আর বিভেদের জল।”
কিন্তু কেন শান্তির খোঁজে ঝগড়ার সমুদ্র?
এ কি শান্তির জয়, নাকি রুদ্ধ পথের ভ্রান্ত দুয়ার?

গুরু গ্রন্থ সাহিব বলে, “সকল মানুষ সমান,
ঈশ্বরের প্রীতি সবার জন্য, এই পৃথিবী আমাদের, আমরা সবাই এক”
তবুও কেন জাতির নামে, ধর্মের নামে হিংসা বেড়ে যায়,
কখনো কখনো শান্তির মূর্তি ভেঙে যুদ্ধের ছায়া বাড়ানো হয়!

আগামা জানায়, “অহিংসা, দয়ার পথেই তুমি সুখী হও,”
তবে কেন পৃথিবী যুদ্ধের সন্ত্রাসে একাকার হয়ে চলা?
ধর্মগ্রন্থগুলো বলে, “ঈশ্বর এক, সত্য এক, প্রেমই হলো পথ,”
তবে কেন এত বিভাজন, কেন এত কলহের রথ?

সব ধর্মের গল্পে, একই বার্তা, শান্তি ও ভালবাসা,
কিন্তু কেন সেই গল্প ভেসে যায় মায়া আর বিভেদের ভ্রান্ত ছায়ায়?
একই কণ্ঠে, একই পথে, ধর্মেরা বলে যায় শান্তির গান,
তবে কেন চলে না সে গান, কেন নয় এক বিশাল সমান?

এটা কবিতা, নেই হাস্যরসের মিশ্রণ,
ধর্মের বার্তা বলে, “মানবতার বন্ধন।”
কিন্তু সবাই যেন ভুলে যায়,
শুধু একদিন যদি সবাই একসাথে হয়—
তবে হয়তো শান্তি আসবে, পৃথিবী হবে নতুন সুরে সাজানো।


---