আমি তৃতীয় শ্রেণির মানুষ,  
তোমাদের সমাজে নেই কোনো স্থান,  
মুখে হাসি, অন্তরে বিষাদ,  
জীবনটা যেন এক লজ্জার কাহন।  

বেতন আমার কাগজের পাতায়,  
অন্ন নেই, কীভাবে পথ্য পাবো?  
ইলিশের স্বপ্ন তো আকাশেই রয়ে যায়,  
পেঁয়াজ মরিচে ভাত সেদ্ধই তবে সব।  

শরীরে নেই বল, পেটের ক্ষুধায়,  
শিশুর মুখে ভাত তুলে দিতে পারি না।  
শিক্ষক, বড় কর্তা—তাদের জন্য বাজেট,  
আমার জন্য শুধু শুকনো কান্না।

শীতের কাঁথা, গরমের পাখা—  
সবকিছু যেন স্বপ্নের মতোই দূরে,  
বছর পেরিয়ে যায়, দিন গড়ায় ধীরে,  
আমার আয় যেন রয়ে যায় ঘরের বাহিরে।  

বুকের ব্যথা লুকিয়ে, মুখে রাখি হাসি,  
জীবনটা যে এক বোঝা, তারও নেই উপায়।  
কারো কি চোখে পড়ে এই দুঃখের গল্প?  
আমার বেঁচে থাকা যেন এক শূন্য আয়।  

জানিনা কতদিন এভাবে বাঁচবো,  
খিদে আর দুঃখে গুমরে কাঁদবো।  
তবু আশা রাখি, কেউ বুঝবে একদিন,  
আমি তৃতীয় শ্রেণির, তবু মানুষ—সেও যেন দিন।