এভাবেই জেগেছে পাহাড়, স্বর্গপানে উলম্ব চূড়া
পরতে পরতে নিয়ে বেদনার বালি
নদীর স্নেহের পরশ, জলের তাড়ন
রয়ে গেছে জন্মপাপের কালের কালিতে লেখা
বিস্মৃত ইতিহাস হয়ে।
শত গল্প, ছলনার খেলা, পুতুলের বিয়ে
অভিমানে উল্টে দেয়া রান্নাপাতির ঘর
ভেঙ্গে গেছে মাটির বাসন হয়ে,
যত্ন আদরে তারে রাখা যায় ধরে
জোড়ে না আর কিছুতেই।
প্রবল চাওয়ার বাতাস বানে
উড়ে যায় কিয়ৎ ব্যথার বালি
দূরে কোথায়, অনেক দূরে
নদীর পরে গ্রাম, মেঘ আবার জলের স্নেহে।
প্রতিটি কণার রেখে যাওয়া দাগে
জেগে থাকে বিষণ্ণ করুণ গাঁথা
শুধু ব্যথা আর ব্যথা, এপাশ ওপাশ চারিধারে তার
জলহীন চোখে কান্নার জ্বালা
আশার তুচ্ছ তৃণ অহেতুক ভার বাড়িয়ে চলে
ঘাড়ে, বুকে, পাঁজর ভেঙ্গে ঢুকে পরে হাড়ে।