আমি লেখার মানুষ নই, লিখতেও পারিনা। দারিদ্রতার যে আঘাত আমার প্রিয় নজরুল, আমার শীয়রে জাগা জীনানন্দ পেয়েছেন তা নিয়ে কিছু কথা না বললে নয়। তই এই চেষ্টা।
যেই কবি গেল চলে
পৃথীবির মায়া ফেলে
কবিতার খাতা ছুড়ে দিয়ে বহুদূর
সেই উঠে রব তটে
ছিল এক কবি বটে
গঙ্গার চর হতে হিমালয় চূঁড়।
চরাচর কাঁদে শোকে
ভারী হয়ে আসে বুকে
গুণমনি হারাবার ব্যাথার পাষাণ
আবার আসিবে কবে
এমন সাধক ভবে
সবাই ব্যস্ত রহে চলে গুনগান।
কেন সে গেল চলে
ক্লান্তির দোলাচলে
কিসের লাগি তার ছিল এত ত্বরা
কবিতার প্রাণের সখা
বয়ে নিয়ে গেছে একা
ভাষার গরিমা গেল রয়ে অধরা।
যখন সে ছিল কাছে পাশা পাশি ঘরে
কখনও নেইনি খবর কোন অগচরে
দু'বেলা ভাতের চাল সেকি আনে রোজ
ক'বেলা উপস দিল কে রাখে সে খোঁজ
কাজ নাই বিনা কাজে কথার ফানুস
কথার বাতাসে ফুলায় কতই মানুষ
ফানুস ফুলানো সেই কবি যেই মরে
পৃথীবি ঝাপিয়া আসে তার কুঁড়েঘরে।