কে বলে তুমি নেই? ওই যে পাহাড় জুড়ে নিস্তব্ধতা, বিকেলের আধপোড়া
রোদ্দুর,ঢেঙ্গা সুপুরি গাছের ডগায় শনশন শব্দে - তুমি আসন জুড়ে আছো।
তুমি আছো, তুমি আছো - ও--- -ই দিগন্তের দখিনা মাঠের ধু ধু প্রান্তরের মাঝের নদীটায়-
দেখা যায়,ভবের ঠিকানায় বাউলা হওয়া যায়, অনুভবের রামধনু মাখা যায় হাঁটার পথেই।
তুমি আছো,জানি আমি।
তুমি আছো ওই চাঁদের আলোর মতো, জাপটে থাকো আলিঙ্গনে পিষে রাখো আমায়---
লাল গোলাপের কাঁটা মাখো,তবুও তুমি আছো ও-ই পাঁউরুটির আধপাগল গন্ধের মতো।
কলকল নদীর জলে নৌকার পালের হাওয়ায় দোল দিয়ে যাও,
শুধু তুমি আছো,তাই ...
তোমার থাকা আর না থাকায় আমি ও দিব্বি আছি।
জানি তুমি আছো!
সিগারেটের ছাই তে আছো, ঘন বসন্তের মহুয়ায় গন্ধ মাখো,
কৃষ্ণকায়ায় আচ্ছাদিত মায়াবী জাল বিস্তার করে আছো,
মোহন সুরে আছো, ঘন রোদের ছায়ায় আছো, তুমি আছো... হ্যাঁ আছো তুমি!
শুধু তোমার থাকা না থাকার অসম্ভব যন্ত্রনায় একটু একটু করে দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া আমি,
তুমি আছো বলেই হয়তো --- একটু একটু করে মৃত সৌন্দর্যের খসে পড়া শুকনো পাতা আমি-
ক্রমশ অতল গহীনে ক্ষয়ে যাচ্ছি। শিষের তীক্ষ্ণতা গ্রাস করছে...
তবু তুমি থাকবে,জলে স্থলে, অন্তরীক্ষে-
তুমি জন্ম নেবে বারে বারে... ডোবাবে কত লাল গোলাপের নীলাঞ্জনাকে।
ডুব দেবে কত নীল সায়রে, কত ঘন কাজল চোখে,
কতশত আঁকিবুঁকি দাগ রেখে যাবে গোলাপি ঠোঁটে -
আমি জানি, তুমি আছো ... ও-ই পাহাড়ের নিস্তব্ধতায়। এ-গলি ও-গলির আঙ্গিনায়,
শুধু তুমি -ই আছো।
তুমি ই -ই।।
✍️ রীতার কলমে।