পাঞ্চজন্যে ফুঁ দিতেই বেজে ওঠে এক এক করে দেবদত্ত ও পৌণ্ড্র মহাশঙ্খ ধ্বনি।
যুদ্ধ শুরু হল বুঝি!
সৃষ্টির কর্তাই বাজালেন অঘোষিত যুদ্ধের শঙ্খ নিনাদ।
পাপের বিনাশ করে জয়ী হবে আরো এক ক্রুর বুদ্ধির কারবারি।
বাবলা বৃক্ষের গাম কিন্তু খেতে ভালো,
কেবল কাঁটা ছাড়া।
এক ঈশ্বর থেকে আর এক ঈশ্বর দের সঙ্গ দেবো আমরা...
আমরা যেন কারা?
জলকাদায় মাখা ফুটপাতের ওপর দিয়ে হেঁটে চলেছি ঠিক যেদিকটা দেখানো হয়েছে!
দেখেছি সেকাল থেকে একালের দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ!
অদ্ভুত?
নারী মানেই কষামাংস।
সুরা পান করেছি তো বস্ত্রহরণ করো, যুদ্ধ জয় করেছি তো বস্ত্রহরণ করো, অপমানিত হয়েছি তো বস্ত্রহরণ করো, প্রফুল্লিত মন তো বস্ত্রহরণ করো!
তাবড়-তাবড় গুটিকয়েক পুরুষ প্রধান নিজের ক্ষমতা আর গুণাবলী প্রকাশ করতে একা নারী ভারী পড়বে জেনে জোট বদ্ধ উন্মাদে উলঙ্গ নিনাদে মেতে ওঠে।
প্রকাশ্যে থাকে জ্ঞানী, মহান, মহর্ষি আরও দৈব শক্তি!
একটা উলঙ্গ রাজা সমস্ত ঋষি মানবতার সমাজকে অন্ধকারে চুবিয়ে ডুবিয়ে মসলিন পোষাকে নিজেকে মহান বানিয়েছে---
ধর্ম, পাঠ, কলা তে সে-ই মৃত্তিকা তে মায়া, সেই দাপট কিংবা অস্ত্র হাতে মাতৃরূপে ন:সংস্থিতা।
সেকাল থেকে একালের দ্রৌপদীরা একাই ক্ষুরধার শক্তি সম্পন্না বুদ্ধিমতী বা শক্তিশালী।
একা নারী পড়বে ভারী,তাই দঙ্গলে আসে জঙ্গল ছেড়ে লালায়িত দুর্যোধনেরা।
যুগের পলক পড়লেও শিয়ালের হুক্কাহুয়া শোনা রাতের অন্ধকারেই।
খড়কুটোর মত ধুলো ঝরায়, ছড়ায় রক্তবীজ।
ফের বাজুক দেবদত্ত অথবা পৌণ্ড্র ধ্বনি -
দামামা বাজুক অন্দরে অন্দরে-
ঘরে ঘরে জন্ম হোক দেবী দুর্গা কিংবা দেবী কালীর।
জন্ম হোক মানবীর....
কথা কবে সুরে ছন্দে আনন্দে আক্রোশে।
শঙ্খ বাজুক ঘরে ঘরে, জয়ের নয়.... বেঁচে থাকার লড়াইয়ের।
জানুক সবাই লজ্জা শুধু নারীর সিক্ত বস্ত্র নয়, পুরুষের ও!
মহান কামুক পুরুষ... ক্ষমতা নিয়ে সামনে দাঁড়াও একা একটি নারীর সম্মুখে।
কলঙ্কিত করেছ সবাইকে,
তাই শঙ্খ তো বাজবেই...
............................
✍️ রীতার কলমে।