- নিথর পুকুরে বান এসেছে। শতেক ডাকে কস্তুর- মল্লিকায় চঞ্চরিক চুম্বনে লিপ্ত,
অজবীথি তে তৈলচিত্র সমাদরের দেওয়াল ঘড়ির ধড়ফড়ানি।
লম্বা লম্বা সিঁড়ির পথে লেসের ঢাকনা, বিবর্ণা কার্পেট পাখনায় তন্মন হয়ে চন্দ্রকী চক্রধারী বেনুর সুরে নৃত্যের প্রেমে মত্ত,
ওহ কি দারুন শোভা...
- কে বলেছে সে কথা সখা? মখমলি কালো বস্ত্রের আবরণ ছেড়ে অন্তরীক্ষে হাওয়ার কাছে খবর নিও..
সবুজ পাতার হুংকার খাঁ খাঁ ভয়ংকর উষ্ণতা শূন্যতার বেআব্রু ক্ষত-বিক্ষত নীলিমা!
মেদবহুল মেদুর পোয়াতি মেঘকে ছোঁয়ার পরশ মেখে দেখো-
কি করুন বাষ্পকণা ওই দূরের প্রিয় শূণ্য আকাশে, যেন নক্ষত্রের শেষকৃত্যের মর্মর ধ্বণি!
- তবে আমার চোখে এত স্নিগ্ধতা কেন প্রিয়া? ঘুন ধরা ভ্রু- কুঞ্চনে কাঞ্চনের লজ্জিতা সজ্জিত বন্য রূপের লাবণ্য, সেকি শুধুই অসংলগ্ন সারস আর গভীরতম প্রজ্ঞা?
প্রতিটি রোমকূপে অক্ষিকোটরের মহাবিশ্ব, আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকা দগদগে বেদনায় শিসের শব্দ উল্কার মত ছোটে না?
চেয়ে দেখো দীঘল জলের পাড়ে রাধাচূড়া, ও তো ভালোবাসায় রঙিন হতো --
- জোনাকিদের জটলা পাকিয়ে জটিল হয়েছে সখা- ওরা রোজ ভাঙে আবার হাসেও...
পশ্চিমা আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখো তবুও সে লালে লাল হলুদ বেগুনির পাশাখেলা -
এই লাবণ্যে অপ্রেম ঝরে, বাঢ় আসে- সেই ঝরঝরে বাদলা জানালার কার্ণিশে হাত ছোঁয়াছুঁয়ি কই?
সেই না পাওয়ার খেলা... ভ্রমর ছুটে বেড়াবে, পাখি গাইবে নতুন বেহাগ -
পিচে বইবে লহরী...
মিনমিন করবে পঞ্চঋতু, লাউডগার ডগমগে কচি পাতায় সোহাগ ভাসবে..
খাল-বিল টইটম্বুর।
এঁটেল মাটির পচা গন্ধ, তবুও নিভন্ত ভাঙ্গাচোরা শরীরে ইচ্ছে পাখিরা ছুঁই ছুঁই নিশ্বাস ফেলে--
লাবণ্য কই?
যেখানে প্রেম হবে ভালো বাসার!
ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি ঝেঁপে আসবে মিঠে সকালে-
আদর মাখবে হাত পেতে বৃষ্টির কাছে?
দূর্বায় নিটোল দ্যুতির হিরে খসে পড়বে টুকরো টুকরো হয়ে..
সবুজ হবে বনশাল-
সখা ----
অশোভন বৃষ্টির শব্দে শুধু খড়কুটো বয়ে যায়-আসে,
ভাঙা সাঁকো জোড়া লাগে না।
সখা ----।
.................................
✍️ রীতার কলমে।