মৃদু বাতাসেই আমার ভীষণ মন খারাপের জ্বর।
আষ্ঠেপৃষ্ঠে পদ্মাবতীর কোলে মধ্যদুপুরে অথবা মিষ্টি আষাঢ়ের ছাতিম তলায়,
অথবা গোপন রামধনু র অদুরে দুচোখের পলকে শঙ্খচিলের ডানায় লেগে থাকে
বাঁ - পাশের নিকষ জমা ছাই।
অগ্নিকুণ্ড থেকে ঝরা পালক খসে পড়ে, আজ আকাশের শুকতারা ও কিছু বলবে।
নিঝুম কুন্ডেরা জমা করে কথকতা,
হয়তো কিছু কথা মেঘ বলেছে-
কে যেন নেই, কারা যেন হারিয়েছে সেই গল্পে - হুম, গল্পই তো...
হঠাৎ গুমোট ভরা কলসির গল্প টা কেউ হয়তো জানেই না।
হাড় বিহীন হৃদয়ের ভাঙনে যন্ত্রনা চুঁইয়ে পড়ে -
বড্ড আলুথালু পোড়া যাতনা-
আরশিতে চোখ আঁকি আর দৃষ্টিতে দৃশ্যমান লাল টুকটুকে চোখের টুপটাপ পতনের ভয়ংকর রাত্রির ভোর খুঁজি,
কিচিরমিচির করে কি যেন বলে যায় চড়ুই টা-
কিসব অবিমিশ্র জলতরঙ্গ - যাই না সেই জলের পাড়ে,যে জলেতে ঢেউ নেই!
আমার যত মাধুর্য, রেশমি ফিতেয় অনধিকার বাঁধনে বেঁধে হুহু বৃষ্টির কাছে মেঘ ভাঙা পথে অধোগামী জলের তোড়ে হাত ভেজাই নি!
বৃষ্টি হবে আর মেঘ জমবে না! রাত নামবে অথচ ভোর হবে না?
মন খারাপের গল্পে যতই ভিজুক না মন-
হাওয়ায় দোল খাবে না মন, তা কি হয়?
রামধনু রঙে ভিজে উঠেছে মন,
তবুও কে যেন নেই?
কারা যেন........!
এখনো এই রাতে চাঁদনী দেখি - জেনো এই তো বেশ।
তবুও কিছু যেন নেই,
কি যেন হারিয়েছে....
ভালোলাগা নেই, বেঁচে থেকেও বেঁচে থাকা নেই!
কি যেন....
আজ খুব -ই মন খারাপের জ্বর।
ঘন নীল আকাশ নেই, কৃষ্ণচূড়ার রঙ নেই,হাস্নাহেনার তীব্র সুবাস নেই---
ঠোঁটের কোনে নিভন্ত ভাঙ্গাচোরা কালো কালো নিকষ কালো রক্তে কামড় -
দগদগে ভাঙা আয়নায় কলঙ্কের দাগ রেখে যেতে যেতে উত্তাল উত্তাপে
টুকটাক শব্দ রেখে যাই--
কে যেন নেই,
.
কে যেন হারিয়েছে?
.
আমার ভীষণ মন খারাপের জ্বর।
............................
✍️ রীতার কলমে।