মন্দার সেবার হঠাৎ জলোচ্ছ্বাসে পুরো গ্রাম ভেসে

গেলো, মন্দার তোমার মনে পড়ে সেদিনের কথা? চার তলার চিলে কোঠায় তুমি ফিরিনের সেতার আঙুল চেপে রাগ মেঘমল্লার এ আত্মমগ্ন ছিলে। যেন নদী ভাঙা বাঢ় কে আহ্বান দিয়ে সবকিছু তছনছ করতে চেয়েছিলে!

গ্রামবাসীদের সে-কি আর্তচিৎকার কানে ভেসে আসছিলো, ধান জমি, গাছপালা, অশক্ত মেটে বাড়ি পোশ্যদের সংগে নিজেদের বাঁচানোর চেষ্টা! তুমি মগ্ন ছিলে নিজের মেঘমেদুর মেঘমল্লার এ. বুঁদ হয়ে ছিলে নিজের আত্মকাহিনীর আস্ফালনে।

ঝল থৈথৈ উঠোন থেকে চিল চিৎকার করে তোমায় ডাক দিলাম... মন্দার শুনতে পাচ্ছো!!!!! তুমি থামাও ওই অলংকারি মূর্ছনার

গগনভেদী সুর।

বিস্তৃত আকণ্ঠ জলরাশি তে ঝাঁপ দিয়ে কত প্রান কে জলরাশির নগ্নতা থেকে ফুটফুটে শুষ্ক সমতলে নিজে হাতে তুলে এনেছিলে।

হয়ে উঠলে জীবনের প্রত্যেকটা কাহিনীর ঈশ্বর। ফিরে এসে ডাক দিলে... পাগলি, তোর জন্য আমি সব কিছু করতে পারি, তুই চাইলে ভরা শ্রাবন কে-ও তুলে দিতে পারি, শুধু তুই

চাইলে...

মন্দার...

জোৎস্নায় ভিজেছি সারারাত, শুধু পাশে থেকো

অগোছালে, অগোচরে অমোঘ বাঁশির

সুরে, মন্দার... শুনছো----
...............

✍️ রীতার কলমে।