দিনের শেষে ভালো থাকার অংকিত প্রাচীন মাতৃকা কে তুমি অবলা বলতে ছাড়ো না,তুমি পুরুষ রোগে ভোগো বরাবরের মত।
মন্দার, জ্ঞানী মানেই পুরুষ আর নারী মাত্রেই ভালোবাসার আঙ্গন?  তুমি নিজেকে একটা ছোট্ট পরিধির মধ্যে বেঁধে রেখেছো!
চারিদিকে চোখ মেলে দেখো তোমার ভরাট সমুদ্রের ভালোবাসায় শুধুই নারী! যারা একাধারে মাতৃরূপা, একাধারে দশভুজা। হয়তো জানো কি জানো না... একা নূরজাহান তার সাম্রাজ্যের জ্ঞান শক্তির প্রয়োগ করে দেশ পরিচালনা করতেন। স্বয়ং বিদ্যা এবং বুদ্ধির জন্য দেবীর শক্তিতে মানবজাতির জ্ঞান অর্জন হয়। আর নারী কে তুমি অবলা বলছো মন্দার?
যে নারীকে তুমি নির্বুদ্ধি ভাবছো, তারা ভালোবাসায় যতটা মাধুকরী প্রবৃত্তিকে আবেগ দিয়ে ঢালতে পারে, নিকোটিনেও ততটাই অভ্যস্ত। কাস্তে,কুড়ুল এর সংগে প্রেম সে বিলোতে ও সক্ষম। নারীদের মৌনতাকে অবলা ভেবো না।
মন্দার, যতই তুমি মহুয়া ফুলের গন্ধ মাখো না কেন, তোমার একলা থাকা আর ও দীর্ঘ হবে তোমার অহংকারে। কুঞ্চিত কেশ বর্ন প্রেমিকা ও অগ্নিকন্যা হতে পারে।
ভালোবাসা আর যুদ্ধ এক নয়, জ্ঞানের শক্তি কার কতটা মাপতে যেও না, চায়ের পেয়ালায় ঠোঁটের চুমুকে ভরিয়ে দিয়ে সকালের নিউজ পেপারে নিজেকে সমর্পণ করে দেখো,তোমার দেখা অবলা নারীদের ধীশক্তি কোথায় নিয়ে গেছে।
মন্দার,শুনছো...
বেরিয়ে এসো আত্মগরিমা থেকে, যে জীবনটাতে বেঁচে আছো,পারলে প্রেমে পোড়ো নিজের জীবনে।
যাকে ভালোবাসো... দৃষ্টি মেলে দেখো,কেন তাকে ভালোবেসেছো?
অবলা বলেই....?

✍️ রীতার কলমে।