মরুভূমির অদৃশ্যের মতো গুমরে ওঠা শহরে
যেন ধু ধু বালুচরের হাতছানি!
মড়ক লেগেছে বাদাড়ে বাদাড়ে, পুড়ে খাঁক ইকির মিকির চামচিকি গুলো।
বাসা হারিয়েছে কাকে রা।
চারিদিকে পোস্টারে চোখ রাখলে চোখে পড়ে গাছ লাগানোর সেকি ধুলো-বালি,
কিছু গাছ কাটা পড়েছে আমরা মানুষ রা থাকবো বলে, তাই বলে গাছ জন্মাবে না,এ কি কথা?
আত্মঘাতী ডোবা গুলোতেও নক্ষত্ররা উঁকি দিতো,
কাঁটাধারী শুঁয়াপোকা গাছ পায় না জন্ম দিতে আস্ত রঙিন প্রজাতির -
মানুষ একাকী হেঁটে চলেছে, অগ্নি অঙ্গারে অখণ্ড ধ্বংসের পথে-
কত গাছ এলো গেলো, আকাশে আগুন লেগেছে,... না না ভৈরবী নয়,ফাগুনে ত্রিতাল বাজে,
ঘুঙুরের জলছবি সাঁচীস্তুপের কারাগারে বন্দী।
উফ, কি আলোড়ন...
দূরের ওই নক্ষত্রের মেলায় উন্মুক্ত অমনোযোগী রৌদ্র,
স্তব্ধ সবুজের মুর্তজা, পাহাড়ি দৃশ্যেও পোড়া আঁশের গন্ধ।
নগরে বৃষ্টি এলো বুঝি? ঝুম বৃষ্টি?
রুক্ষমূর্তি রৌদ্রের রোদনে কালসিটে পড়েছে মেঘেদের গায়ে,
এই রোদের দিনে তুমি ছায়া মাখো কি করে,
নিরুদ্দেশের দুপুরে একটা চিঠি দিও -
কি জানি, কখন কি হয়!
প্রজাপতির ঘর ভেঙেছে, খাবে কি? শ্রাবণ জল?
পাহাড় চূড়ায় ফুলের গন্ধ, মফস্বলের হবে কি!
সবাই এখন জ্বরে ভুগছি, শর্ত বিহীন শুকনো ঘরের উলঙ্গিনী দেউড়ি,
একবার তুমি অখণ্ড পাথর সরাও, ঘুরে দাঁড়াও দরজা খুলে-
এসো বর্ষা, ছুঁয়ে দেখো কি করুন হাহাকার।
লাল- নীলে ভরিয়ে তোলো, তোলো "মিয়া-কি-মালহার",
স্বর-লহরী বাঁধো ললনা, উপোষী স্বপ্ন ভেঙো। বর্ষা নামুক মনে,
সিন্ধুতে তো বিন্দু জমে, সমুদ্র তো গ্রাস--
রাগ ভাঙিয়ে এসো প্রিয়া,এসো ধরিত্রী ধামে, ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টি মেলো-
ছুঁয়ে দেখো একটিবার, বাইরে না থাকলেও তুমি আছো হৃদয় জুড়ে...
সাধ্যি নেই এই অমানবিক মানুষের বিকারের কুঠারের আঘাত,
যতই তুমি দূরেই থাকো, তুমি -ই যে অলংকার।
এসো প্রিয়া, এসো...
ভিজিয়ে দা-ও... আলিঙ্গন করো ধরিত্রী কে।
চারিদিকে সোঁদা মাটির পোড়া গন্ধ...
শান্ত করো তপনে...।।
✍️ রীতার কলমে।