দাদা! পাঁচ থেকে ছয় রকমের মিষ্টি ভরে দিন। গুড়ের সন্দেশ দেবেন কিন্তু!

চোখ ঘুরে চলে উন্মুক্ত মৌমাছির সংগে-মিষ্টি'র খোঁজে।

ধুলো, বালি আর নীল ফড়িং, না-দেখা অচেনা এক চোখ ঝলকানি দেয়-
তিসির স্মৃতির দৃষ্টিতে... সামনে কে! -

দগদগে চিতার ঘা? নাকি শান্ত শিশির? বিমূর্ত মায়া নয় তো?...
কেঁপে ওঠে কয়েক যুগের পলক, কুনাল? হ্যাঁ, তো,এ তো সেই ইতি কথার ইতিহাস, এ-তো কুনালই!

দুটো শালিক দু'শো বছরের বাধা পেরিয়ে দু'জনের কাছে এগিয়ে এলো।
-" আমি তোমার সুরে বাঁধা যে,আবহেই বুঝতে পারি, বেলা ভুমে ছুটে আসা-
সে-ই মেঘবতী মেঘবালিকা ----কেমন আছো? "-

তিসির স্মৃতি স্থিরচিত্র - দৃষ্টি স্থির - বড়ই শান্ত সে-গোধূলির স্নিগ্ধ বিষন্ন আলোয় অপূর্ব এক মায়াবীনি,
ছায়াবীথি - প্রেমহীন শালিক।

-" আপনি কেমন আছেন?"-ভিন্ন হৃদয়ের দুটো হাত এগিয়ে আসে,
সমুদ্রের বিশাল গভীর আকাশ ছুঁতে।

জনসমক্ষের আভরনে জড়িয়ে দুটো শালিক হাতে হাত রেখে
বিশুদ্ধ বিসুখে দহন ফেনার সমুদ্রের শব্দে পা রাখে।

মসলিন শুষে নিয়েছে দুটো শালিকের বিশ্বাস। খাঁচায় বন্দী সিঁড়ি,  জড়োয়ার লাল পাথরের
মাখন দেওয়া মসলিন পুরুষ,  নারীর স্বপ্ন স্বত্ত্ব হারিয়েছে--

দু-শো বছর পর দুটো শালিক আজ নিভৃতে চোখে চোখ রেখেছে।

পরিত্যক্ত হাহাকার মরুভূমি তে জল? দু'শো শালিক চারিদিকে-
আঙুলগুলো পরস্পরের ক্ষনিকে আবদ্ধতায় বাঁধা পড়েছে।

দ্রুততম সময় বাষ্পে পরিণত হয়, পলাশমাখা পুরুষ হারমোনিয়ামে সাঁতার কাটে,
না দেখা নীরব ছবি- নিভৃত বুকের হৃৎস্পন্দন,  হয়তো সে আছে!
যুগে যুগে--

একদলা কান্না পাকিয়ে ওঠে তিসির-কিন্তু মন যে বলছে--
"মেঘ জমলে নীল আকাশে শালিক পাখির পাশে আসে,
পাড়ি দেবো নিরুদ্দেশের একলা আমি মেঘ পাহাড়ে।
বৃষ্টি হবো তোমার দেশে,ধরায় হবে তোমার দেখা
পাখনা হবো, তোমার রবো-রবে না কেউ ঘোড়ার সওয়ার,ডিঙাবো না সহজ পথে-
জন্ম হবে হাজার ব্যাথার- মুঠোয় নিও বৃষ্টিধারা,যতই ঝরুক বৃষ্টিগুলো--কান্না বারন 'মেঘবালিকার ||


...........…............

✍️রীতার কলমে।