~ বড় ক্লান্ত,
ক্লান্ত শরীর, বড়ই ক্লান্তিতে হঠাৎ একদিন তাই বলে উঠলো
আর এক কাপ থেকে শুরু হলে হয় তো নির্জন বাগানে হাঁটাহাঁটি, চোখে চোখ আর মন টা কে বাঁধা যেত!
তাঁর আঁখি জলে আগুন ছোবল প্রিয়বোনা কথা বলি-- তার সাথে দেখা হয় না, তাই বলে মনে মনে আমায় ফেললো এক কোষার জলে?
আমি যে সব মিলিয়ে ভীষন রকম সুখে ভুগি, আজ কি করে হলো যে সব মিলন বিবাসি।
দীর্ঘ আয়নার মুখোমুখি আজ.. তুমিও দেখো আমিও দেখি...
ডুবতে ডুবতে কষা গন্ধপুষ্প আঁজলা করে নিয়েছি সে-ই কোন মধ্যরাতের ভুলে-
আরশির আর দোষ কি বলো-
তাকে তো ভালোবাসি -ই নি কখনো, রূপ নিংড়ে নিতে দাঁড়াই সামনে। প্রশ্ন ছুঁড়ি এ-কি সাজ?
সব অগোছালো এলোমেলো! চলনে, দৃশ্যতে বেআব্রু তিমিরময়!
ভেজা যৌবনপোড়া মরাকাঠ দেহখানি!
কান্না পায় না?
তরঙ্গে সেতার সুর বেঁধেছে,
কল্পলোকের বিশালতা ম্লান হলে-ও কি উজ্জীবিত তুমি গভীর ক্ষত তে!
দেখো কত ঢল করে ছল নামবে উত্তাল ইচ্ছেরা ভিজবে সেই চেনা ছন্দে-
শরীর ভেজা অলিন্দ্যে কত নি:শ্বাস হাজারো সত্তা আর আস্ত নিভন্ত ভাঙ্গাচোরা চাঁদ।
কি বিপুল সাম্রাজ্যের স্মৃতি! শরীর ঘেঁষা পাতি সরসীরুহ,
আঁখিপুট জ্যোৎস্নার ফেনরাশি-
শ্রান্ত ছবি সুধাস্রোতে অপারগ অস্ফুট উত্তর -
নিথর মৃত আয়না তবুও কথা বলে।
আঙুল তুলে বলে- রৌদ্রমতী শৈল চূড়া প্রমোদ গোনা শুরু করো...
নিজেকেই সাজতে হয় পরিপাটি করে, সে দেখে আর ভুল ধরে।
নাহলে পায়ে পায়ে হাঁটা নয়, কিছু কথা বলা নয়, নি:শ্বাসে প্রেম নয়, আঁচলে মুঠো মুঠো শব্দ নয়,
তবুও প্রশ্ন আঁকি, যারে ছুঁই ছুঁই করে আধুনিক চাঁদ দেখি-
সে-কি এলোমেলো কথা আগুন ছুঁয়ে বলে?
জলে তার আতস কাঁচে দৃষ্টি মেলে দেখে!
উত্তাল ইচ্ছেরা ভিজবে...
ভিজছে যৌবন, জরা, শরীর, মন-
ঢল করে ছল নামবে শরীর ঘেঁষা অলিন্দ্যে। উফ - কি ভয়ংকর উষ্ণতা।
আয়নায় কলঙ্কের দাগ, অনেকটা এঁটো এঁটো বাসি গন্ধ।
✍️ রীতার কলমে।