শোক স্তব্ধ নি:সন্তান জননী আজ বাক্যহারা।
শুধু রক্ত,শুধু রক্ত বন্যা কুরুক্ষেত্রে-
দিশা হারা অমাবশ্যায় ঢাকা মাঠে দীর্ঘশ্বাস_
মাতৃজঠরে ঘুন ধরেছে বন্দী বুকের পাঁজর,
চারিদিকে শুধু হাহাকার আর শকুনীর আক্রোশ।
শত পুত্রের মৃত্যু নাকি কুরুবংশের ধ্বংস?
যুদ্ধ শেষ - নিকষ কালো ঘুটঘুটে ঘন
যুদ্ধ ক্ষেত্রে বইছে রক্ত চিৎকারে হাহাকার,
যেন শত শত বধু দান করেছে
মাথার সিঁদুর হেলায়,শুধু অভিশাপ আর
অভিযোগ, আঙুল ওঠে অনাদি স্রোতের কাছে।
ধরিত্রী আজ কাঁদছে শোকে, রক্তে ভেজা
এঁটেল মাটি- দখিনের মাঠে শুধুই কান্না
দিগন্ত পাড়ে নিথর শত সহস্র শরীর,
কঁকিয়ে ওঠে মায়ের ছেঁড়া পুরাতন নাভী-
গর্জে ওঠে গোপন পৃথিবী জলন্ত শবাধারে,
"শুনছো মোহন বাঁশি! ধ্বংস হবে যদুবংশ
মাতৃ অভিশাপে-মৃত্যুঝড় ও চুঁইয়ে যাবে
দেখবে তুমি চেয়ে- চোরা স্রোতের মাঝে -
জননী, সন্তানহারা জননী আমি - গান্ধারী জননী"।।