বাংলা মায়ের ছেলে ছিল, নামটি ছিল আজাদ,
স্বপ্ন ছিল মহাকবি হবে, জিতবে বিশ্বসাজ।
মায়ের ভাষার সুরে গেয়ে বলত সে অবিরাম,
“বাংলার ভাষায় ফুটবে আলো, লিখব যত গান।”
হঠাৎ এলো নিষ্ঠুর বিধান, উর্দু হবে ভাষা,
আজাদের হৃদয় কাঁদল, জ্বলল প্রাণের আশা।
বুকের মাঝে আগুন জ্বলে, উঠল মিছিল ডাক,
“বাংলা মায়ের কণ্ঠ রুখবে? গর্জে উঠবে পাক!”
শত্রুর লাঠি, শত্রুর গুলি, লাল হলো পথঘাট,
রফিক-সালাম বুক চিতিয়ে দিল শহীদের স্মৃতিস্মৃত।
আজাদ তখন রক্তে ভেজা, তবু বলে যায়,
“জয় বাংলা! জয় আমাদের মাতৃভাষার জয়!”
কারাগারে বন্দি সে, ভাত চায় এক থালা,
মায়ের চোখে অশ্রু গড়িয়ে, বুকটা কাঁপে হালকা।
সেই ভাত আর পেল না সে, হারিয়ে গেল রাতে,
তবু তার স্বপ্ন বেঁচে, রইল বাংলার সাথে।
ফেব্রুয়ারির একুশ তারিখ রক্ত রাঙায় পথ,
সেই শহীদের ত্যাগেই বাংলা পেয়েছে নিজের রথ।
আজও যখন শহীদ মিনার দেয় শহীদের শ্রদ্ধা,
আজাদের আত্মা হাসে, বাংলার বুকে রোদ্দুর ঝলমল।