এই শহর বড় অচেনা,  
শূন্যতার দেয়ালে দেয়ালে  
ভালোবাসার নীলচিঠি ঝুলে থাকে,  
কিন্তু কেউ পড়ে না,  
হৃদয়ের দরজায় কেউ কড়া নাড়ে না।  

আমি একদিন এই শহরে  
প্রচণ্ড মায়া রেখে যাব,  
কোনো এক মনোলীনার চোখের ভেতর,  
যেখানে হারিয়ে যাবে  
আমার সব একাকীত্বের সুর।  

এই শহরে চাঁদ উঠে,  
কিন্তু সে কেমন ফিকে,  
অন্য কোনো শহরে চাঁদের আলো ঝরে,  
সেখানে হয়তো কেউ স্বপ্ন বোনে—  
কিন্তু আমার সেখানে ঠাঁই নেই।  

এই শহরে বৃষ্টি নামে,  
কিন্তু সে শুধু ছুঁয়ে যায় কংক্রিট,  
অন্য কোনো শহরে হয়তো  
একজোড়া হাত জড়ায় একে অপরকে,  
কিন্তু আমার সেই শহরে জায়গা নেই।  

এই শহরে মানুষ হাঁটে,  
রঙিন মুখোশ পরে,  
কিন্তু চোখের গভীরে থাকে শূন্যতা,  
বুকের মাঝে বন্দী এক দমবন্ধ বাতাস,  
স্বপ্নগুলো সব জমা পড়ে অন্য শহরে।  

একদিন ঠিকই আমি,  
পূর্ণিমার জোছনায়  
কোনো এক মনোলীনার সামনে দাঁড়িয়ে বলবো—  
“তুমি কি আমার সঙ্গে বৃষ্টিতে ভিজবে?  
আজ আমরা এলোমেলো হয়ে যাবো,  
এই শহরের মতো, এই জীবনের মতো।”  

হয়তো বাতাসে তার শাড়ির আঁচল উড়বে,  
হয়তো চোখের কাজল জলে ভিজে যাবে,  
তবুও আমি তাকিয়ে থাকবো,  
তাকিয়ে থাকবো এক মায়াবী চাহনিতে,  
এই মায়াহীন শহরের কথা ভুলে।  

একদিন আমি ঠিকই,  
এই শহরকে ভালোবেসে ফেলবো,  
মায়াহীন শহরকে মায়ায় ভরিয়ে যাবো,  
কোনো এক মনোলীনার জন্য।