তোমার নামে বুকে লিখি, প্রেমের নীল পরিচয়,  
সোহাগিনী ডাকেই যেন, জেগে ওঠে হৃদয়।  
চাঁদমণি চোখে চেয়ে, বলে কানে কানে,  
“মনরানী তুই ছিলি আমার, সেই প্রথম জানে।”

প্রাণসখী দুঃখভোলা, অনুপমা দীপ্ত,  
রূপবতী স্বপ্ন জাগায়, ভালোবাসা নীপ্ত।  
চাঁদনীবালা রাতে আসে, গোপন ডাকে নাম,  
জানপাখি উড়ে বলে, “নয়নমণি স্নিগ্ধ তাম!”

সুরভি সুবাস ছড়িয়ে, প্রিয়বালা গান,  
মাধুরী তুই হাসলে যেন, কাঁপে প্রেমভুবান।  
কমলিনী তোর কাঁধে পড়ে, আলো ঝরে যায়,  
ভোরবালা তুই হেঁটে এলে, রোদ্দুর গায় গায়।

তটিনী বয় প্রেমের নদী, রূপলতা ঢেউ,  
চুপকথারা মন কাঁপায়, ভালোবাসা ঢেউ।  
তৃষ্ণা জেগে ওঠে মনে, স্নিগ্ধা ডাকে হেসে,  
সাজনবালা বলে, “আমার চোখে আয় ভেসে।”

আবেশিনী চোখে মায়া, কল্পনায় তুই,  
অনুরাগিণী নাম ধরে আজও বেঁচে রই।  
স্নেহপথিকা পথের পাখি, স্বপ্নময়ী চোখ,  
চোখেমণি তাকিয়ে বলে, “ভালোবাসা শোক।”

রাতপাখি গান শুনিয়ে, অনুরাগে ভরে,  
তুই যদি থাকিস পাশে, আমার আর কী দরকার মরে?  
তোমার নামে গাঁথা গানে, প্রেম পুড়ে যায়,  
শত নামেই তুই যে আমি—জীবনেরই ছায়া।