কবিতা, তুমি কি জানো, তুমি কীভাবে এসো?
শব্দের মধ্যে ঢুকে হৃদয়ে গাঁথো।
তুমি কল্পনার ডানা, তুমি আবেগের সুর,
তোমার কাছে হার মানে পৃথিবীর প্রতিটি ঝড়।
কখনো তুমি ফুলের কোমল পাপড়ি,
কখনো তুমি ঝড়ের তীব্র ঝাপটা।
তুমি সহজ, তুমি কঠিন, তুমি মায়া,
তুমিতেই জীবনের সব রূপের ছবি আঁকা।
তুমি আছো, তবে তুমি অনিশ্চিত,
তোমার কোনো বাঁধন নেই, কোনো সীমা।
তুমি সৃষ্টি করো শব্দের অলৌকিক ছন্দ,
যা হৃদয়ে বাজে, যা অনুভবে পুঞ্জীভূত।
কবিতা, তুমি পৃথিবীর গভীর বেদনা,
তুমি আশার আলো, জীবনের গান।
তুমি প্রতিটি সুখে, প্রতিটি দুঃখে,
আমাদের সঙ্গী, আমাদের অনুভূতির পরিপূর্ণতা।
তুমিই সেই শব্দ, যা ভুলে যাওয়া স্বপ্নের কাহিনী,
তুমি সেই রঙ, যা ছড়িয়ে দেয় হৃদয়ের ভালোবাসা।
কবিতা, তুমি সুরে সুরে জীবনের আখ্যান,
তুমিতেই বেঁচে থাকে মানুষের আশা, ভালোবাসা।
তুমি হয়তো কিছু না বলেও বলে যাও,
তুমি কেবল নিজের ভাষায় কথা বলে,
কখনো তুমি বৃষ্টির মতো মৃদু,
কখনো ঝড়ে ভেসে যাও, উঁচু থেকে নিচু।
তুমি যে জীবনের অমৃত, তুমি কখনো মৃত্যু,
তুমি শীতের স্নিগ্ধতা, তুমি গ্রীষ্মের তপ্ত বাতাস।
কবিতা, তুমি চলে যাও যখন,
থেকে যায় তোমার ছায়া, থাকে যায় তোমার মাধুর্য।
তুমি আছো, তুমি থাকবে, তুমি কখনো শেষ হবে না,
তুমি যে আমারই মধ্যে, হৃদয়ে, চিন্তা, কল্পনায়।
কবিতা, তুমি এক অমলিন অগ্নি,
তুমি অক্ষয়, তুমি চিরকাল, তুমি এক মহাকাব্য।