বালকবেলায় এক দুপুরে,  
দাঁড়াই গিয়ে পথের পুরে।  
জ্যোতিষ বসে আতশ কাঁচে,  
হাতের রেখা দেখে যে কাছে।  

এক টাকাতে ভাগ্য বলে,  
বিফল হলে টাকা তোলে।  
দেখলাম সবাই খুশি হয়ে,  
সোনার ভবিষ্যৎ শুনছে বয়ে।  

আমি গেলাম হাতে দিয়ে,  
প্রশ্ন একটাই, মনের ভিয়ে।  
"আমি কি পালাতে পারবো ভাই?"  
চমকে উঠে চাইল ঠাঁই।  

চোখে ধরল আতশ কাঁচ,  
গম্ভীর স্বরে বলল জান,  
"বালক! তুই তো জন্ম ক্ষণে,  
নিজেকেই হারালি কোন এক কোণে।"  

সেদিন থেকে খুঁজি কেবল,  
হারিয়ে গেছি কিসের ছলে?  
জোনাকির আলোয়, আঁধার বুকে,  
বাতাসে দোলে লাল ওড়নাতে।  

সমুদ্রের পারে বালুর ঘরে,  
ভাঙা কাঁচের প্রতিবিম্বে ভরে।  
দাদার কবরের মাটির গন্ধে,  
প্রিয়জনের অভিমানে বদ্ধে।  

নিজের ছায়ায় কতবার যে,  
গলাচেপে ধরেছি নিরবে।  
তবু পাইনি আমার খোঁজ,  
আজো চলি সেই পথ রোজ।  

বন্ধু বলে, "খুঁজতে থাক,  
একদিন পাবি নিজেই ডাক।  
না পেলে, তুই কবি হবি,  
না হয় সন্ন্যাসী হবিই তোর রবি।"