তাহার স্বপ্নগুলি পুড়িতেছিল অগ্নিতে,
লাগামহীন ইচ্ছাগুলি ধরিয়াছিল ঝড়।
স্বর্ণখচিত বাগানে দাঁড়াইয়া সে দেখিল,
স্বপ্নের গৃহই বাঁধিয়াছে শূন্যতার ঘর।

প্রতিষ্ঠার লোভে সে বাঁধিল নিজেকে,
চাপা পড়িল নিজ হস্তে রচিত সমাধিতে।
স্বর্ণের আবরণে ঢাকিয়াছিল তাহার ক্ষত,
তবু অন্তরের গভীরে ছিল নিঃসঙ্গ রাত।

জাগিয়া দেখিল একদিন, সমস্তই রহিয়াছে,
চারিপাশে স্বর্ণালোক, মোহন দৃশ্য।
তবু কোথাও এক ফোঁটা জল রহে না,
কোথাও নাই জীবনের সজীব বিকাশ।

তখন সে বুঝিল, খাঁটি রত্ন চিনিবার
ক্ষমতা ছিল না তাহার দমিত হৃদয়ে।
স্বর্ণাভ বালুকার পথে পদ রাখিয়া সে
হারাইয়াছিল যাহা ছিল জীবনের মূল।

মৃত্যু তখন হইল জীবনের শিক্ষক,
বলিল তাহারে—“স্বপ্ন নহে, চেন হৃদয়।”
তখন সে দেখিল, ধন নহে, প্রেমের শক্তিই
অপরাজেয় জীবনের একমাত্র বিজয়।