তোমার পথে নামি আসে মেঘ,
আলোর রেখা ভাঙে দূর গিরির রঙে।
তোমার পায়ে তুষার ফোঁটা লেগে
জাগে প্রভাত, লুকায় গোধূলি বঙ্গে।

ঝর্ণার সুরে বাজে যে গান,
সেই সুরে মোহিত প্রকৃতির প্রাণ।
তোমার কেশে জড়ায় পুষ্প মালা,
মেঘে মাখে আলোর রঙিন জ্বালা।

পাহাড়ের কোণে তোমার মায়া,
তুষার গায়ে আঁকে স্নিগ্ধ ছায়া।
তোমার ছায়া লেগে যায় পাথরের বুকে,
যেন জ্যোৎস্না পড়ে রৌদ্রের তটে।

তোমার পথ চেয়ে কাঁদে বায়ু,
ঝড়ে কাঁপে বন, পাহাড়ের দাহু।
তোমার আলতা রাঙা পদচিহ্নে,
ধরায় জাগে তীর্থের চিন্ময় ধ্যানে।

কিন্তু হেথায়, হে গিরি-কন্যা,
পলকে মরে প্রেমের ধন্যা।
স্বার্থে ডুবায় ভালোবাসার নদী,
অমানবিক পথে চলে সেথায় কদমবী।

তোমার শিরে উঠুক চন্দ্রালো,
ফেরো তুমি গিরির তুষার ঘেরা আলো।
সেখানে দেবতার তপস্যার ধ্যানে,
তোমার রূপ আঁকা চিরকাল রইবে স্মরণে।

আমরা মাটির মানুষ, ক্ষুদ্র জীবন,
তোমার ছোঁয়া কেবল মোহের বীজ বুনন।
তাই ফিরে যাও, হে গিরি-তনয়া,
তোমার স্বর্গে, যেখানে মর্ত্যের ছোঁয়া নয় কদাচিৎ দায়া।

তোমার ছায়ায় গিরি-বায়ু গান গায়,
তোমার কিরণে পাথরে প্রাণ জ্বায়।
আমরা কেবল পথিক তীর্থের,
তোমার স্বপ্নে খুঁজে ফিরি চিরন্তন সুরের।