শহিদ মিনারে আমি যাই না বহুকাল
প্রভাত ফেরি আমাকে আর ডাকে না
অথবা সেই ডাক আমি আর শুনতে পাই না,
একুশ এখন একটা ছুটির দিন
আরাম করে ঘুমবার জন্য একটা মুক্ত সকাল।
আমিতো আর রাজনীতি করি না
মাঝ রাতে শহিদ বেদিতে ক্যামেরায় বন্দি হবার
কোন আবশ্যকতা আমার নেই,
আমি কোন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব নই
ঘটা করে সেজে গুজে একদিনের জন্য
বাঙালি হয়ে উঠার কোন সাংস্কৃতিক তাগাদাও আমার নেই,
আমি কোন স্কুলে পড়াই না
কোন ক্লাবের সদস্য বা নেতা নই
আমি কোন সাংবাদিক বা ফটো সাংবাদিকও নই
প্রভাত ফেরিতে যাওয়া আমার কোন পেশাগত দায়িত্বের মধ্যে পরে না।
রফিক সালাম বরকত তোমাদের কাছে কৃতজ্ঞ আমি
তোমাদের জীবনের বিনিময়ে একটি সকাল আমি
আরাম করে ঘুমতে পারি!
একুশে ফেব্রুয়ারি
বাঙালি হবার গর্বটা কোথায় যেন আর খুঁজে পাচ্ছি না!


পুনশ্চঃ বিদেশি ভাষা চর্চা করা, জীবিকার প্রয়োজনে বিদেশি ভাষার উপর বেশি জোড় দেওয়া, বিদেশি সাংস্কৃতিক ভালো দিক গুলোতে আকৃষ্ট হওয়া এর কোনটাকেই আমার মন্দ মনে হয় না। বরং এগুলো কে আমার সামর্থ বলেই মনে হয়। কিন্তু বাঙালি জাতি হিসেবে গর্ব বোধ না করা কে আমার ভীষণ মন্দ লাগে। মনে হয় কেবল এক নির্বোধ যে বাঙালি জাতি সম্পর্কে কিছুই জানেনা সেই কেবল এমন করতে পারে। আশা করি এই নির্বোধদের সংখ্যা শিঘ্রই কমে আসবে। স্বপ্না দিদির স্মৃতি শুধু বয়ে যায় শিরোনামের কবিতার প্রভাবে এই লেখাটি লিখেফেলেছিলাম। দিদিকে ধন্যবাদ তার সুন্দর কবিতাটির জন্য।