আমিতো জলের জন্যে আমার উটনীর বুকে ছুরি বসিয়েছি
আমি জানতাম সে কোথায় সুখ লুকিয়ে রাখে,
জরায়ু কেটে আমি যখন তিতলি কে দুনিয়ার আল দেখাব ভাবছি
তখন তোমার আলো পশ্চিমের দেশে চলে গেছে।
মালতীর বস্ত্র হরণ করেছি এরপর, তার যোনিতে রেখেছি লালসার লালা
আমাকে ভীত করতে পারেনি দশ হাতী ঔ ন্যাংটো মূর্তিটা,
ঘুমের ঘোরে স্বপ্নে অসংখ্য নারী আর বিস্তীর্ণ ভূমি অধিকার করেছি
অধিকারের সেই স্বপ্নের ঘোর কাটেনি।
আমার শিক্ষা আমাকে সচেতন করেছে ভীষণ
যে নারীতে আমার অধিকার যে ভূমিতে আমার অধিকার
যতটুকু বিষ না ঢাললে বিবেকের মৃত্যু হবে না
ততটুকু জ্ঞানে সমৃদ্ধ আমার ব্যক্তিগত প্রোফাইল।
আমাকে পুরুষ নামে ডাকো তোমরা
মানুষ হবার ফুরসত আমার হয়নি কখনও।
জরায়ুতে বীজ বুনে প্রকৃতির হাতে সপে দিয়েছি ক্ষেত
যা জন্মেছে তা প্রকৃতির সন্তান
আমার প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে সেইখানে!
পিতা হবার এক ঔপন্যাসিক ইচ্ছে উঁকি দিয়ে গেছে
কোন কোন কাব্যিক প্রহরে
কিন্তু সে তো আর জন্মদাতা হবার মত ভরপুর আনন্দের নয়
দু এক সকালে তাই পশ্চিমে সেজদা দিয়েই সে ইচ্ছে উবে গেছে
এখন সন্তান রাষ্ট্রের নাগরিক, তার কাঁধেই দায় চাপিয়ে
এলেবেলে একটা কিছু হলে, গলা ছেড়ে তাকেই গালাগাল করি
নিজেকে কাঠগড়ায় না দেখে ভীষণ সুখ পাই।
নেতা আমি নেতৃত্ব সহজাত নারীকে অনুগত রেখেছি
ধর্ম সৃষ্টি করেছি সেইজন্যে, লিখেছি অমর কবিতা
পায়ে দলিত করেও পুষ্প বলে ডেকেছি
ছল আর কৌশলে অন্দরেই আটকে রেখেছি নারীর সম্ভাবনা,
পুরুষ আমি পুরুষ নামেই ডাকো তোমরা
মানুষ হবার ফুরসত আমার হয়নি কখনও।
কিন্তু আমি যে তোমার গর্ভে জন্মেছিলাম
হে নারী, হে আমার জননী
তোমার কাছেই আমার শেখার হাতে খড়ি
তুমি কি এক মানব শিশুর জন্ম দাও নি?