দিগন্ত এক্সপ্রেস ছুটে চলে স্টেশন থেকে স্টেশনে
তার জানালায় ধাবমান দৃশ্যপট আর সময়
পলকেই পাশ কেটে বেরিয়ে যায় যা কিছু দৃশ্যপটে আসে
আমি তাদের ছায়াময় অবয়ব দেখি কেবল,
আমার পাশ কেটে বেরিয়ে যায় সময়
সময়ে ভাসমান মানুষের ছবি,
ভেসে যায় কেওড়া বন
শ্বাস মুলের আঘাতে পা ফাটা বিকেল
গোধূলি লাজুক আলোয় তোমার হাত ধরে বাড়ি ফেরার অমূল্য সুখ-সময়।
কোন দৃশ্যই পুনর্বার ফিরে আসে না
দিগন্ত এক্সপ্রেস এর জানালা যে গ্রাম ফেলে এসেছে পেছনে
সে সময়ের স্রোতে ভেসে গেছে,
মেঠো পথে তুমি দারিয়ে ছিলে
হাতের আঙ্গুল গুলো তোমার বাতাসে নড়ছিল
কয়েকটি মুহূর্ত মাত্র
সেই বাতাস মিশে গেছে পূবের হাওয়ায়,
সামনে তখন ধেয়ে আসছে অনন্ত সময়
অচেনা গ্রাম, অদেখা মানুষের মুখ
দিগন্ত এক্সপ্রেস ছুটে চলে পশ্চিমের দিগন্তে
যেখানে সূর্যটা দিবসের শেষে হারিয়ে যাবে।
তার আগে কত গ্রাম সরে যাবে ট্রেনের জানালার দৃশ্যপটে এসে
কত হাত বাতাসে দোলা দিয়ে যাবে
কত কেওড়া বনের বিকেল
কত মুখ গোধূলি আলোয় রাঙা
কত শত ভাঙা স্বপ্ন ফেলে আসা স্টেশনের ফাকা প্লাটফরমে হাহাকার হয়ে থেকে যাবে,
দিগন্ত এক্সপ্রেসের জানালায় বসে আমি দেখে নেব জীবনের গতি
সময়ের বেগে যে ধেয়ে যায়।।