অপেক্ষা
তিন অক্ষরের শব্দ টা ঠিক যতো দ্রুত উচ্চারিত হয়,অপেক্ষার সময় ঠিক ততো দ্রুত অতিবাহিত হয় না
অপেক্ষার নির্দিষ্ট কোন কাল,পাত্র ভেদ কিংবা সময় হয় না
কখনো সড়কের দোতলা বাস বা হুট তোলা রিকশার অপেক্ষা,আবার কখনো চায়ের স্টলে বন্ধুমহলে আড্ডার অপেক্ষা
এ সবের ঊর্ধ্বেও একান্ত ব্যক্তিগত কিছু অপেক্ষা থাকে
ঠিক যেমন শৈশবের বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগ মূহুর্ত পর্যত করা তীব্র অপেক্ষা,আবার কখনো টিউশন অথবা অফিস শেষে লোকাল বাসে করে বাড়ি ফেরার অপেক্ষা,আবার কখনো প্রাগৈতিহাসিক নব্বই দশকের ভালোবাসার অপেক্ষা  
আসলে অপেক্ষা এক ধরনের মায়া,কারো মায়ায় পরলে যেমন মায়া কাটানো যায় না,ঠিক তেমন ভাবেই কারো অপেক্ষায় থাকলে সেই প্রহর কাটে না,
কেউ কেউ তো অপেক্ষার সাগরে পতিত হয়ে,জীবনের অর্ধ সময় নিমিষেই কাটিয়ে দেয়,আবার কেউ তো পুরো জীবন টাই অপেক্ষার জন্য উৎসর্গ করে দেয়
অপেক্ষার মাঝে কিছু বিষণ্ণ ডিসেম্বরের আক্ষেপ থাকে,তোমাকে পাওয়া না পাওয়ার ডিসেম্বরে বিষাদগ্রস্ত অপেক্ষা বিরাজ করে, মধ্যাহ্নের দ্বিধাদন্দে এক প্রহর দ্বিপ্রহর করে কেটে যায় সময়,বছর,যুগ
তবু কাটে না অপেক্ষার প্রহর।