আমার জীবনের নিরাপত্তা না হোক,
একটি নিরাপদ মৃত্যুর সুযোগ করে দিন।
নিরাপদ রাষ্ট্র, নিরাপদ শহর, নিরাপদ জীবিকা
নিরাপদ জীবন- এসব চাইবো না;
চালডাল বেতন ভাতার ফরিয়াদ করে
রাষ্ট্রীয় উন্নয়নে বাধা হয়ে দাঁড়াবো না-
একটি নিরাপদ মৃত্যু পেলেই আমার চলবে।
যেমন মৃত্যু পেলে মায়ের কোলে নির্বিঘ্নে
ঘুমোতে পারবে একটি স্তন্যপায়ী শিশু,
পাশ ফিরে যার কপালে চাঁদচুমু খেয়ে
ঘুমের তীব্রতা বাড়িয়ে তুলবেন স্বর্গীয় পিতা।
আমাকে যেন লাঞ্ছিত শরীরে মর্গে যেতে না হয়
শহরের অবহৃত পুরনো ডাস্টবিন কিংবা
নদীতে ভেসে না উঠে আমার অর্ধগলিত লাশ;
আমাকে যেন নিশ্চিহ্ন করে পিষে না যায়
আপনার সশস্ত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল ট্রাক।
আমি নিরাপদে ঘরে ফিরতে পারবো কি না
এমন উৎকণ্ঠা নিয়ে মাকে যেন পথ চাইতে না হয়;
খাবার টেবিলে প্রতিরাতের মতোই যেন
একজন বয়োবৃদ্ধ পিতা তার সন্তানের সাথে
বসে নিশ্চিন্ত মনে খাবার খেতে পারেন।
মাননীয় রাষ্ট্র, আমাকে অবাঞ্ছিত মনে হলে বলুন
স্বেচ্ছামৃত্যু বরণ করে নিতে আমি সর্বদা প্রস্তুত
এতে রাষ্ট্রের কোন দায় থাকবে না।
আপনি তো জানেন মৃতদের প্রতিপক্ষ নেই
মৃতদের কোন অভিযোগ থাকে না-
আমারও নেই।
একটি নিরাপদ মৃত্যু পেলেই আমার চলবে-
নিরাপদ মৃত্যু চাই, একটি নিরাপদ মৃত্যু।
০৫০৮২০১৮
প্রফেসর'স লজ।