এক দেশে এক রাজা ছিল
দেখতে ঠিক আধ পাগল,
রাণী তাকে আদর করে
নাম দিয়েছে রাম ছাগল।
রাণীর স্বভাব বেজায় ভালো
গায়ের রং কুচকুচে,
পৌনে চার ফিট লম্বা দেহ
একটুখানি নাক বুচে।
রাজা রাণী দুজন মিলে
সুখেই ছিলো ৩ টি সাল,
অন্য দিকে প্রজা রা সব
দেশের চিন্তায় নাজেহাল।
রাজা মশাই থাকলে সুখে
দেশটা বুঝি জলেই যায়!
মন্ত্রী সভায় বসল মিটিং
রাজা মশাই কাঠগড়ায়।
কাঠ গড়াতে দাঁড়িয়ে রাজা
ভেবে না পায় কূল,
কেনো আজি বিচার আমার
করলাম কি ভুল?
এমন সময় সেনাপতি
দুই পায়ে তে খাড়া,
হয় রাণী কে তালাক দিবি
নয়তো রাজ্য ছাড়া।
এবার ব্যাটা পাগল রাজার
মেজাজ গেলো চড়ে,
কার বাপের সাধ্য আছে
আমার বিচার করে!
রাণী আমার, রাজ্য আমার
আমার কথাই শেষ,
ঝড় তুফানে ও ছাড়বো না'কো
আমার সোনার দেশ।
মন্ত্রী সভায় কানাকানি
রাজার কথা শুনে,
আর তো মাত্র দুই টি বছর
যাবে হাতে গুনে!
সেদিনের সেই বিচার কার্য
সফল তো আর হল না,
মন্ত্রীরা সব বুদ্ধি করে
আটলো আর এক ছলনা।
দিনে রাতে রাজার কানে
মন্ত্র ঢালে মন্ত্রীগন,
কালো রাণী না তাড়ালে
আমরণ অনশন।
সাদাসিধা রাজা মশাই
পড়ে গেল দোটানায়,
এত সাধের রাজ্য, রাণী
এবার বুঝি দুটোই যায়!
পাশের বাড়ির বাবুর সাথে
কল্কি ভরে টানতে গাঁজা,
ভাবতে ভাবতে নদীর দিকে
ছুটে গেছে পাগল রাজা,
সেই খবরটা রাণীর কাছে
পৌঁছে দিল বাবুর বউ,
তোমার বর যে মাতাল রাজা
শোনে যদি অন্য কেউ!
অভিমানে রাণী এবার
ফুলে ফেঁপে কলা গাছ,
রাজা মশাই ফিরলে বাড়ি
নাচাবে আজ বানর নাচ।
মহা রাজা মাতাল হয়ে
ভুলে গেছে সবকিছু,
হায় রে! রাজার এমন দিনে
কেউ নাই আর তার পিছু।
এই সুযোগে মন্ত্রী ব্যাটা
রাণীর কাছে গিয়ে কয়,
পরকিয়ায় মত্ত এখন
মোদের রাজা মহাশয়।
পরেরদিন সকাল বেলা
রাজা মশাই উপস্থিত,
রাজ মহলের সবাই তখন
গাইছে কারোর মরণ গীত।
কে মরেছে কে মরেছে?
রাজা শুনতে খুব ব্যাকুল,
মন্ত্রী বলে শুনুন রাজা
এসব কিছুই তোমার ভুল।
তোমার জন্যই তোমার রাণী
ফাঁস দিয়েছে নিজ গলায়,
তুমি তো এক খুনি রাজা
ছেড়ে দাও এ লোকালয়।
রাজা তখন হতভম্ব
চলল যেদিক দুচোখ যায়,
স্বামীর হাতে পেলো না আর
মুখ আগ্নিটাও অভাগায়।
.............সমাপ্ত..............
সাদাসিধে হইও না কেউ
বলি সবার হাত ধরে,
আপন জনকে ভুলেও কভু
দিও নাকো পর করে।