কি বিনির্মাণ হবে মহাকাল স্রোতের সাঁতারে
ক্ষুধা তৃষ্ণায় যখন ক্রমাগত দেহের মরণ, সাজানো ফুল বাগানে প্রজাপতির মিথ্যে মায়া বিভ্রম, নির্বানের পথে যখন শূন্যতার অবচেতন বিবর্তন, তখন মুখোশ পুষে পুষে অরুচি
ধরে গেলে কেবল উপায়ান্তরহীন বেঁচে থাকা।
ধূপছায়া পরবাস, একে একে এক হয় না, দ্বিমুখী পথ বেঁকে বহুমুখী বাসনার আড়ালে
আবছা হয়ে যায় সমান্তরাল বেঁচে থাকা,
কারও মুখে হাসি থাকে না, ভাগের বিষাদটুকু
বুঝে নিয়ে আপন অচেনা পথে চোখ বুজে বাড়ায় পথ। সুখ স্বপ্নের বাতিগুলো যত দূরে
থাকে তার আহ্বানে বাড়তে থাকে জীবনের
পীড়ন।
কৃষ্ণগহ্বরের মতো জোর করে ভালোবাসায়
হয়তো বেঁচে থাকা যায়, তা কেবল অচেনা দুর্বোধ্য অসুখ বয়ে বেড়ানো, আলোহীন সঙ্গমহীন, মৃত্যুহীন। যে প্রেম বাঁচতে শেখায়
ঠিক তার বিপরীত প্রেম। শিশির ভোর, সকালের রোদ, ছোট ছোট পাখির বিমুগ্ধ চারণ যে প্রেমে সাজিয়ে দেয় বুক, তার উল্টো প্রেমে মানুষ বেঁচে থাকে অনিচ্ছায়।