নদীটা ঢেউ তুলে চলেছে অবিরত,
কাশফুলগুলো সাদা রঙিন স্বপ্নের মতো-
ডানা ছড়িয়ে হাওয়ার সঙ্গে সজীব হয়
এখানের পথ সীমানাহীন ঘাসের মতো-
সবুজ বনের মতো সজীব,
প্রজাপতিগুলো কবিতার ছন্দ কিংবা আকাশের নীলের মতো
নেচে চলেছে, গানের সুরের মতো-
প্রাণবন্ত।
সূর্য নদীর জলে আলোকিত হয়ে আলো ছড়াচ্ছে-
দিগন্ত পেরিয়ে দিগন্তে ফুল থেকে ফুলে
ঢেউয়ের দোলে প্রেমধ্বনি তোলে,
বাতাস ছুঁয়ে এসে ঘাসে ঘাসে গা এলিয়ে দূরে-
চলে যাচ্ছে, গানও ভাসছে আকাছ ছন্দের
তালে তালে,
বনের ধারে পাতাগুলো সজল সজীব-
এখানে মিছে কিছুই নয়,
বাস্তব হয়েও শুধু স্বপ্ন হয়।
নদীর জল ভেসে চলেছে বিস্তীর্ণ ভিজে মাটির প্রাঙ্গণে,
ঢেউ ছন্দের মতো তুলে হাওয়ার সঙ্গে
মিশে যায় শিল্পীর ছবির রঙে-
পাখি তখন ছিল নিস্তব্ধ, এখন সে গাচ্ছে চি চি
কোমল মিষ্ট আওয়াজ করে-
নিজের প্রাণ মন একত্রে ধরে।
সূর্য মিষ্ট কমলায় অস্ত হচ্ছে, আর কিছু অস্পষ্ট নদী-
ধ্বনি নিয়ে চলে যাচ্ছে,
মিলিয়ে যাচ্ছে শূন্যে।
কত নতুন চিত্র এঁকেছে শিল্পী আমার মনে,
নতুন দৃশ্য, নতুন নদী চিত্র ধারা হয়ে
এসেছে আমার কাছে স্বপ্নের মতো হয়ে-
নীলচে মেঘের মতো উড়ে বেড়াচ্ছে
আমার চোখের চারিপাশে,
শত মেয়েও এসেছে অপরিচিতা হরিণীর মতো
কোমল রঙয়ের খেলা খেলিয়ে-
জোছনার মতো আলো ছড়িয়ে
এসেছে আমার কাছে,
সন্ধ্যার তলে নানা বাতি জ্বলে, নদীর স্বপ্নে-
গান গায় পাখি নীলাভ বিমল জলে।