সেই রাস্তাটা; অচান্ঞ্চল্য জীর্ণবেশে
অভিমানে চুপটি করে পড়ে আছে।
হয়তো নেই আগে মত সজল
নেই রাঙ্গা পায়ের পারাপার,
তবু নাড়া দেয় অদম্য অনুভূতি
রঙ্গন রমণীর নিষ্পাপ হাসির মনিহার।
তীক্ষ্ণ রৌদ্রদাহে ঘাসগুলো নিয়েছে বিদায়
সাক্ষ্য, বুকে জাপটে থাকা রঙ্গিন আঁচল,
ক্ষণিকের বিমূগ্ধ অনুরাগীর সাক্ষী তো হয়
কম কিসে সে অসহ্য যাতনা সকল।
দূরেই গোলাপ গাছটা, কম অভিমানী নয়,
কন্টক-কায়ার জন্যই তো হয়েছিল সে ভূল
মুহুর্তে ভেবেছিল, গা কাটাহীন হলেই হয়।
স্পর্শেই হয়ত শুধরাত ভূল
সুযোগ যদি দেয়া না হয়।
কাশফুল; সযত্নে গড়ে তুলেছিল নীড়
তাদের রুগ্নতা কি সাক্ষ দেয় না,
অসহায় হয়ে দাড়িয়ে অধীর
তব, সেই মৃদু পদধ্বনি কতটা চিরচেনা।
হয়তোবা সে স্পর্শই কামনা ছিল
স্পর্শকাতর আশাতীত রুপেই প্রকাশিত,
গধূলির স্নিগ্ধ আলোয় যে মোহনার স্পর্শ পেত।
প্রতিটি প্রতীক আজ উজ্জল মূর্তীয়মান
বেদনাময় সুরে বিধ্বস্ত তাদের পৃথিবী,
আমারই নেশায় মগ্ন, রুগ্ন মলিন
জীর্ণ-শীর্ণ যব অসহায়ত্বের পরিত্রান
মিলবে, পাবো কি অনধীনতার নিশাণ ।।।।