রুপন্তী,
আজ অনেক দিন পর
ঘোর থেকে বের হয়েছিলাম
ঘর থেকে বের হয়েছিলাম  ।
তোমার প্রিয় গান
তোমার পছন্দের পোশাক পরে
তোমার পছন্দের স্থানের উদ্দেশ্যে ।
অনেক দিন পর সেই জায়গায় আমি
অনেকক্ষন একা একা বসে ছিলাম
আজ কারো অপেক্ষায় নয়
কারো দেরি করে আসা আক্ষেপ নিয়ে নয়
অতিতের সময় গুলো নিয়ে ভেবে বসে ছিলাম
রুপন্তী
সেই লেকের পাড়ের
ছোট্ট টোঙয়ের দোকানটার পাসে বসে ছিলাম
দোকানটা  আজ বন্ধ ছিল
খোজ নিয়ে জানলাম
দিলু ভাই দোকান বন্ধ করে দিয়েছে
সে চলে গেছে এ শহর ছেড়ে
আর আসবে না ।
রুপন্তী
চিরচেনা রাস্তায় আজ ছিল না কোন ব্যাস্ততা
মনে হচ্ছিল সবাই আজ ব্যাস্ততা কে ছুটি জানিয়েছে ।
রুপন্তী
আমি সেই টোঙয়ের দোকানে  
যেখানে তোমার আমার প্রথম দেখা
যেখানে বসে তোমার আমার হাজার খুনশুটি
এই সেই টোঙয়ের দোকান
যেখানে আমরা এসে মিলিত হতাম
হারিয়ে যেতাম রঙিন সংসারের খোজে ।
রুপন্তী
সেই টোঙয়ের দোকান
যার পাসে বসে
শিখিয়েছিলাম তোমায় কিভাবে শাড়ি পড়তে হয়
কিভাবে টিপ পরবে
চোখের কাজল কিভাবে দিবে ।
রুপন্তী
সেই টোঙয়ের দোকান
যেখানে প্রিতি নামের সেই মেয়েটিকে তুমি পেয়েছিলে
অনাথ সেই মেয়েটিকে নিয়ে কত শত ভাবনা
আর কত উদ্যোগ ।  
সেই টোঙয়ের দোকান
এখান থেকেই হারিয়ে গেছি আমি
এখান থেকেই
এখান থেকেই তোমার চোখে চোখ রেখে
বলেছিলাম
তুমি কি আমার অক্সিজেন হবে ?
রুপন্তী তুমি হেসেই উড়িয়ে দিয়েছিলে
সেদিন সারা পৃথিবী তোমার হাসি শুনেছিল
কেপে ঊঠেছিল তখন পৃথিবী
দিলু ভাই  ও লজ্জা পেয়েছিল
যখন তুমি হ্যা বলেছিলে ।
রুপন্তী
আজ ও পৃথিবী অবাক হয়েছে
আমায় একা দেখে
দিলু ভাইয়ের চলে যাবার কারন
জানা হয় নি
হয়ত তুমি আর আসবে না ভেবে চলে গেছে
তোমার প্রিয় সেই প্রিতির খবর পাই না অনেক দিন
পেলে তোমার কথা বলতাম ।
রুপন্তী
আমি আসব
এখানে সময় পেলেই আসব
যদি কখন ও তুমি ফিরে আস
সেই আশায়
আমাদের রাগ আভিমানের জায়গায় ।
আমি এখানে মাঝে মাঝে ই
আসব তোমার সেই প্রিতির কাছে
যদি সে তোমার কোন খোজ সেই
সেই আশায় ।
আমি এখানে সময় পেলেই চলে আসব
তোমার প্রিয় গান গুলো শুনব
তোমার কথা ভাবব ।
রুপন্তী
ভাবছি এখানে একটা জাদুঘর বানাব
সেখানে তোমার আর স্বপ্ন গুলোকে
সাজিয়ে রাখব
সুখ দুঃখ রাগ অভিমান সব সাজাব
আলাদা আলাদা তাকে
প্রিয়ন্তি,
আমি এখানে মাঝে মাঝে ই আসব
অনেক মিথ্যা অজুহাতে তোমায় খুজব
তোমার প্রিয় স্থানে ।