বাঁশ বাগানের মাথার উপড় চাঁদ যে ছিল ওই
চাঁদের জায়গায় চাঁদটি আছে বাঁশগুলো সব কই ?
আছে বাঁশগুলো সব কালভার্ট আর সরকারী সব কাজে,
রড না দিয়েও কাজ হয়ে যায় রাস্তা ঘাট আর ব্রীজে!
দেখতাম ঝড়-তুফানে দৌড়ে গিয়ে উঠতো আপন ঘরে
এখন উপহারের ঘরের তলেই ঘরের মানুষ মরে!
আগে কাঠের ঘরে কাঠই ছিল বাঁশের জায়গায় বাঁশ
এখন রডের জায়গায় বাঁশ দেয়াতে মানুষ হচ্ছে লাশ।
দশ কিলোর ওই রাস্তাটার আজ বড্ড করুন হাল
শেষ না হতে কাজের মেয়াদ, শেষ হচ্ছে তার ছাল!
একশ টাকা বাজেট হলে আশি টাকাই হাওয়া
বাঁশ না দিলে রড দিয়ে কি যাচ্ছে সেটা পাওয়া?
এই দেশে নাই লৌহ খনি, অন্য দেশে নিবাস তার
তাতে কিছূ যায় আসে না, মোদের আছে বাঁশের ঝাড়!
রডের জায়গায় বাঁশটা দিয়ে পরীক্ষাটা করে
উন্নয়নের মন্ত্রটা তাই থাকনা নিজের ঘরে!
বাঁশ বাগানে রোজ-ই, গিয়ে চাঁদ মামাকে খুঁজি
গর্বে বুকটা ভরে আজি, বনের বাঁশ হয়েছে থ্রিজী!
কথার কথা বলতো লোকে “আজ খেয়েছি বাঁশ”,
সেসব এখন বলতে মানা, তার খুব বেড়েছে ঝাঁজ।