কিছুটা চাওয়াকে আমার পাওয়ায় রূপদান করা যায় মাননীয়া?
জানি নিয়তির নিষ্ঠুর চপেটাঘাত বড়‌ই হৃদয় বিদারক,
তবুও আজ বিচ্ছেদ যেহেতু অমোঘ নিয়মের বস্তায় বন্দি
ক্ষনিক কি পাশে বসা যায় কোন এক অখ্যাত জায়গায়?
এক ঠোঙা বাদাম কি ভাগাভাগি করে খেয়ে নেয়া যায়?

আসো! আমরা নাহয় কিছুক্ষণ পাশে বসে গল্প করি।
নাহয় শেষবারের মতো যৌথভাবে অল্পক্ষণ জোছনা দেখি।
এরপর তো তোমার আর আমার জোছনা আলাদা।

সম্মানে, বিনয়ে কোন কমতি হবেনা মাননীয়া;
কমতি হবেনা শেষ বারের শেষ দিনের ভালোবাসায়।
এরপর না হয় আমরা জোছনা দেখা শুরু করি
যে তার উঠোন থেকে।

মেঘে মেঘে শেষ হলো যত বেলা
জীবনের লেনদেন ভীষণ ভাবে ফুরাল।
দুটি পথের মোহনায় দাঁড়ায়ে
আর হয়তো অল্প সময় পাবো,
এ এটুক সময় এক ফ্রেম আসি, বসি-
শেষবারের মত!

আর আছে যত অভিযোগ, অনুযোগ
শেষ বারের মত শ্রবণ করি।
তুমি একের পর এক বলে যাবে অভিযোগ আছে যত
আমি নাহয় নিঃশব্দে সব উত্তর দিয়ে যাবো ততো।
তোমার চোখের দিকে তাকিয়ে শেষ বারের মত
বলে দিতে চাই যতটা পারো ভালো থেকো।
আমার ভালবাসা নাহয় বস্তায় পুরে রাস্তায় ফেলো।

কখনো কোথাও ব্যাথা পেলে
মন খারাপের কোন কারণ হলে
আমাকে যদি মনে পড়ে
নীল খামে চিঠি দিও ওই দূর আকাশের নীলিমায়।
জরুরী বিভাগে আমি অপেক্ষা থাকবো
Love +ve গ্রুপ রক্ত নিয়ে।

তারপর বিচ্ছেদ, বিচ্ছিন্ন নগর জনপদ
নদী পাড়ে ছলাৎ ছলাৎ ভাঙ্গনের সুর
তখন আর কে কার নিবে দায়
পথিকেরা হয়তো একটু থেমে অশ্রু সজল নয়নে
আবার বিলীন হয়ে যাবে যে যার পায়।

ভেঙেচুরে নদী বয়ে যায়,
তার দুঃখ না ফুরায়, দুঃখ শোনার কেউ নাই
কিছুপর অন্য কূলে নেবে ঠাঁই।
এভাবেই জীবনের সকল লেনদেন এক সময় ফুরায়,
জীবন তার গতিপথ বদলায়।
থাকে না শুধু সে, মুখোমুখি বসে আনন্দ ভাগাভাগির হায়
মানুষ!!!
সেতো ক্ষনেক্ষনে বদলায়।