প্রিয়তমা, তোমাকে লিখবো বলে,
সব ভঙ্গুর লাইন একটা একটা পেরেক
ঠুকে ঠুকে মেরামত করবো বলে,
সব আগের মতো ঝালিয়ে নিতে চাই বলে,
শত-সহস্র বার চ্যাট বক্স ওপেন করেছি,
ব্লক খুলেছি, কিন্তু এক লাইন‌ও আঁচড়াতে পারিনি।

অনেক বার কিপ্যাডে আঁচড় কেটেছি,
প্রতিবার তোমার ভেতরের দানবটা উঁকি দিয়েছে বারংবার-
আমার কিপ্যাডের অক্ষরের মাঝে।
তোমার হিংস্র দানবেরা বারবার রক্তাক্ত করেছে
আমার কি-প্যাডের শত-সহস্র বোতাম।

প্রিয়তমা, তুমি শুনলে অবাক হবে,
তোমাকে এখন আর লিখতে মন ডাকেনা।
কি-প্যাডে আঙ্গুলি চলেনা,  
আঙ্গুল নড়বড় একটা চাপা ভয়ে।
কি-প্যাডের কাঁন্দন সয়েনা আর এ বিক্ষত মনে।

অনেক হয়েছে, ভাবছি আ-র লিখতে যাবো না তোমাকে ।
চ্যাট বক্স আ-র খুলবো না।
তোমার দানবেরা আমকে গিলে খাবার আয়োজনে,
নিজেকে দান করার সাহস প্রায় ভঙ্গুর।
তাইতো আজ জীবনের আয়োজনে নিজে হলাম দৃঢ়।
চ্যাট বক্স করলাম পুনরায় মজবুত।

প্রিয়া, একটা জিনিস খুব করে খেয়াল করলাম,
তোমার ভিতরের পশুটা আমাকে বাঁচতে দিবেনা,
চিরে হাড় গোড় কড়ৎ-মড়ৎ করে খাওয়ার বাহানা
খুঁজে চলেছে প্রতিনিয়ত‌, দিন-রাত অবিরত।
আজ আমি ভয়ে জড়োসড়ো।
বুঝি এলো কোন দানব তোমার পালিত লালিত খোয়াড়ের কানা গলি বেয়ে।

জানো হে প্রাক্তন, এখন আমি আঁচড় কাটি।
স্বপ্ন সাজাই থরে থরে, আমার‌ই স্বীয় ক্যানভাসে।
এখন লিখলে আর অক্ষরের প্যাঁচ থেকে
তোমার দানবেরা বেরিয়ে আসেনা,
শুধু বেরিয়ে আসে আমার চেরাগের সেই আলাদিনের দৈত্য।
বলে, কি চাই মালিক?

এখন এ চ্যাট বক্স শুধুই আমার।
আমার মালিকানাধীন আমার সাম্রাজ্যের এক আধার।


সীতাকুণ্ড, চট্টগ্রাম
১৯/১২/২০২২