এক ভিষণ অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলাম!
আমি সহজ কথা নাকি সহজে বলতে পারি না।
আমি মেনে নিলাম,মাথা নুয়ে পড়ল,তবুও হাসলাম।
সহজে বুঝিয়ে বলা কি আমার কম্য!হাস্যকর তাই না।
ওহে আমার মানষচিত্তে এক সুপ্ত কবির বাস
শব্দে শব্দে মনের আবেগে করি কাব্যের চাষ
চোখের কান্নাকে আমি ব্রিষ্টি বলি -তোমরা ভাব উন্মাদনা
বুকের ব্যথাকে আমি নীল বলি,তোমারা বল এ বুঝি যন্ত্রণা।
আমার বলা ঝর্ণা ধারা, তোমারা জলের ফোয়ারা বুঝ
আমার বলা বরজ ধারা, তোমরা আগুন উল্কা ভাব।
আমার দেখা সাঁঝের বেলা,তোমার ঘরে ফেরার গণ্ডি
আমার কল্প করার শুরু,তোমার ঘরে করা সন্ধি।
আমি তো জটিল নই,তবে আমাকে বুঝতে তোমার সাধনা চাই
তোমার সত্তায় আমার আত্মার কান্না চাই
মনের অভয়ারণ্যে ঘুরে বেড়াবার সাধিনতা চাই
এক জোড়া ভেজা, কাজল মাখা চোখ থাকা চাই
মেঘ ভেদিয়া, নীলাকাশ ভাংগার সপ্ন থাকা চাই
আমার ভেতরের আমিটাকে মুক্তি দেয়া চাই-
তবেই তো আমার সরল জটিলতা তোমার সমরে সমীপে ঠাই।
জানি তুমি সমিপেনা তোমায় আমার আমায়
আমার আঁকা ছবির মাঠে, তোমার স্নিগ্ধ ছায়ায়
পথ তো তাই আমিই হারাই,আমার পথের দিশায়
জটিল কুটিল আমিই তাই, হাতে তোমার নাটাই।
নাই বা বুঝলে আমায়,আমি নাহয় অবোধ্য হই-
রহস্যের এই মানষ কবি, কাব্যেই মজে রই।।।