মেঘ হতে মেঘপুঞ্জে লাফিয়ে
ট্রপোমণ্ডল,স্ট্র্যাটোমণ্ডল,মেসোমণ্ডল ভেদ করে
এক নভোচারী যাত্রা শুরু করেছে মহাশূন্যে।
মহাকাশের নীরবতায়, নক্ষত্রের মাঝে
বিবাহের আসর নাকি বসবে আজ -
মহাজাগতিক সাজে।
শুক্র উজ্জ্বল হয়েছে প্রদীপের মতো
মঙ্গল বার্তা পাঠায়, আছে গ্রহেরা যত।
আলোর আবরণে ঢাকে নক্ষত্রের গান
প্রেমের সমুদ্র আজ উত্তাল, অজান।
চন্দ্রের কিরণ রাঙায় ঊষার কপোল
পৃথিবীর কোলে বাজে সোহাগের ঢোল।
মিলনের আভাস দেয় ধুমকেতুর রেখা
নবীন স্বপ্ন গাঁথে তারারাই একা।
অনেক ক্রান্তিলগ্ন পেরিয়ে,
অবশেষে শুভক্ষণে দেখা,নক্ষত্র কন্যার সাথে।
চোখে তার ব্ল্যাক হোলের গভীরতা
হৃদয়ে নীহারিকার কোমলতা।
পরনে জড়ানো তারায় খচিত ঝিলমিল শাড়ি
আঁচলে গাঁথা নেবুলায় আচ্ছাদিত রঙিন মেঘ।
পাড়ের ভাঁজে মহাজাগতিক মায়া।
হঠাৎ কম্পন ছড়িয়ে পড়ল মহাশূন্যে
পালসার ঘড়িতে বন্ধ হল সময়,
কক্ষপথ বদলে গেল,
গ্রহেরা ছুটে গেল ভিন্ন ভিন্ন অভিমুখে।
সুপারনোভার বিস্ফোরণে কসমিক ধূলিকণার মতো
দুজন সিটকে পড়ল দুই বিপরীত মেরুতে,
আলোকবর্ষ দূরে।
হয়তো মাধ্যাকর্ষণ বলের প্রভাবে
কোটি কোটি বছর পরে,
আবারও হবে উৎসব-
মহাজাগতিক এই স্বপ্নলোকে।