দু:শ্চিন্তা ছিল কিনা জানিনা ছেলেটার।
অসীমের খোজে ঠোঁটে তার ঘন-ঘন,
ধোয়ার আধারে বিড়ি নেভে আর জ্বলে
বয়সই বা কতো হবে তার:
সেদিন মেঘের কোল ঘেসে,অশ্রু বেধেছে দানা।
ফুরতি আর ধরেনা তার মনে!
দু-তিন প্যাকেট বিড়ি আর হ্রদয় ধার নিয়ে,
ছুটে এল আম বাগামের ঘরে।
শুধু মেঘ-মেঘ আর ঝড়। বৃষ্টি হলনা ছিটে ফোটা
একদিন এমন বাদল বাসর ঘরে,
মন দিয়ে বসেছিল সুন্দরি মেয়েটারে.
তখনও ঠোঁটে তার দাউ-দাউ বিড়ি জ্বলে!
সেই স্মৃতি মনে যখন পড়ে,
টুক করে সে আর একটা বিড়ি, রেখে দেয় ঠোঁটে ধরে।
বিড়ি খায় আর ধোয়া,ধোয়া খায় আর বিড়ি.
লোকে বলে তুই 'নরোক যাবি শিগগীরি। '
ছেলেটা ভাবে বিড়ি খেয়ে কেউ
নরোক গেছে কি-না,
তা ক-জোনে আমরা জানি?
আমি যে পেয়েছি আধারের সুখ
বড় ভালবাসি তারে আমি!
নোতুন-নোতুন বিড়ির
প্যাকেট,নোতুন নোতুন ধোয়া.
ধোয়ার হ্রদয় কি বলিছে বুঝবে কি দুনিয়া।
হটাৎ মেঘ-ঝড় কেটে আলো দেখিলো বিকেল বেলা।
দেখিলো এক উর্বর ষোড়সী নারী,
ঝড়ের ভয়ে লুকিয়ে ছিল,এখন যাচ্ছে বাড়ি।
চোখা-চুখি,দেখা-দেখি,অনেক খানি হল।
একটা হ্রদয় আর একটার সাথে
কি জানি কিভাবে আটকে গেল।
পুরানো ব্যাথা,পুরানো কথা,
একটা রুপের তেজে,ধুয়ার সাথে মিলিয়া গেল;
প্রেম জাগিল আকস্মাতে।
আপন করে নেবার আগে, সজোরে কহিলো নারী.
'বিড়ি ছেটে যদি সিহারেট টানিতে পারো,
তবে আমি তোমার হতে পারি।'
অনেক ভেবে ছেলেটা বলল, মেয়েটার কানে কানে।
'বিড়ির দামে যদি সিগারেট পাওয়া যেত,
তাহলে কি তুমি রাখিতে আমাকে
তোমার মনের মাঝখানে?'
হ্যা-হ্যা-তা হতেই তো পারে বোকা.
এটাও তো সেই এক প্রাকারের ধোকা।
বিড়ির আগুন খোনিক পোড়ায় সিগারেট অনেক বেশি!
তাছাড়া জিনিস নিয়ে তো প্রশ্ন নেই,
দামটা হওয়া চাই বেশি।
ছোট আর বড়োতে কি এসে গেল, টাকাই তো করবে খুশি।
বিড়ির দামে সিহারেট পেলে সিগারেট দামে বিড়ি.
ওই সিগারেট লোকে টানবে নাকি?দেখতে কি বিশ্রী।
ছেলেটা সেদিন প্রনাম করে উর্বর মেয়েটারে,
বিড়ি ছাড়িয়া সিগারেট ধরলো,আর ছাড়লো মেয়েটারে।