শ্রাবণী বসু
সন্তান ধারণে অক্ষম, এই কথাটাই জেনে গিয়েছিলে সেদিন,
শারীরিক ত্রুটির কথা সামনে এসে গেছিলো আচমকা ,
তাৎক্ষণিক আঘাতে,অপমানে, বিহ্বল হয়ে
মেরে ফেলতে চেয়েছিলে সত্যিটাকে বিষ দিয়ে,
কি ছেলেমানুষ ই না ছিলে তুমি !
সব বৃক্ষকে যে ফল প্রসবিনী হতেই হবে এমন কথা তো নেই
বৃক্ষের দোষ কিবা তাতে ! লজ্জাই বা কী !
স্বামীর উপর এক বুক অভিমানে মৃত্যুর কপালে চুমু খেয়েছিলে,
মনোকষ্টে নীল হয়েছিল তোমার দেহ।
সেই কবে তুমি নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছো জীবন থেকে
তোমার উপহার দেওয়া ঝরনা কলম-
কত খুঁজেছে মাতৃসমা তোমার স্নেহের আঁচল।
সে কতদিনের কথা!
কত জল বয়ে গেছে তারপর!
আজো তোমাকে ঘিরে সাধারণের যত মাথা ব্যথা,
মিথ্যে আলপনা , সস্তা ভাবনার তিলক
তোমার নির্দোষ কপালে !
কত গুণী ছিলে তুমি ,
কত ধৈর্য দিয়ে গড়ে পিটে নিয়েছিলে ,মা হারা কবিকে
তোমার কিনা এমন মরণ !
সাহসী বৌঠান !! সংগ্রাম থেকে সরে গিয়ে
তুমি হেরে গিয়েছিলে জীবনের কাছে !
তোমার জন্য বড় মন কেমন করে আমাদের ।